ঈদ বাজার

চড়া দামে ছিট কাপড়ের দোকানে বেচাকেনায় ভাটা, দরজিবাড়িতেও ভিড় নেই

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:২৮:৫০ পিএম

 

মারুফ কবীর: ঈদ বাজারের শুরুতে ভিড় জমে ছিট কাপড়ের দোকানে। তারপর পছন্দের পোশাক বানাতে ছোটাছুটি আরম্ভ হয় দরজিবাড়ি। কিন্তু এবার গজ কাপড়ের দোকানে ঈদের কেনাকাটার চিরচেনা সেই ভিড় নেই। কোনো কোনো দোকানে অসল সময় পাড় করছেন বিক্রয় কর্মীরা। ফলে দরজির দোকানেও ভিড় তুলামূলক কম। বাজার ঘুরে ও  যশোর জেলা তৈরি পোশাক সমিতির নেতাদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

মঙ্গলবার ছিল রোজার ১৫তম দিন। সরকারি ছুটির দিন হিসেবে এদিন বাজারে অনেক ভিড় হওয়া কথা ছিল। কিন্তু এদিনও সেভাবে ক্রেতা সমাগম হয়নি।

ক্রেতারা বলছেন, ছিট কাপড়ের দাম অনেক বেশি। টেইলার্সে পোশাকের মজুরিও বাড়ানো হয়েছে। ফলে বাড়তি খরচ গুনতে হিমশিম দশা। এ বছর গজ কাপড়ে প্রকার ভেদে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বাড়ায় বেচাকেনা তুলনামূলক কম। এখনো ঈদের বাজার জমেনি।

যশোর শহরের বড়বাজারে ছিট কাপড়ের দোকান জিকো কর্পোরেশনের বিক্রয় কর্মী আলী হোসেন বলেন, প্রতি বছর রোজার মাসে ভালো বেচাকেনা হয়। কিন্তুএবার খুবই খারাপ। প্রতিটি গজ কাপড়ের দাম বেড়েছ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

তিনি আরো জানান, বিদেশি শার্ট-প্যান্টের পিসে গজ প্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ছে। পায়জামা-পাঞ্জাবির কাপড়ের গজ প্রতি প্রকার ও মানভেদে বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। দেশি-বিদেশি সালোয়ার কামিজের কাপড়ে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। লতিফ ক্লথ স্টোরের বিক্রয় কর্মী মিন্টু  ও  মডার্ন ক্লথ স্টোরের  বিক্রয় কর্মী বাবুও একই কথা বলেন।

ছিট কাপড়ের পাশাপাশি টেইলার্সে পোশাক তৈরির মজুরিও বেড়েছে। কাপুড়িয়াপট্টির মডার্ন টেইলার্সের প্রোপাইটর ও যশোর জেলা তৈরি পোশাক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ ও শ্রমিক খরচের পাশাপাশি অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় মজুরি বাড়াতে বাধ্য হতে হচ্ছে। আগে প্যান্টের মজুরি ৪ থেকে ৫শ’ টাকা নেয়া হলেও; এ বছর ৫শ’ থেকে  সাড়ে ৫শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন,  সালোয়ার কামিজের মজুরি আগে ৩শ’ টাকা নেয়া হলেও এখন সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা নেয়া হচ্ছে। সিনথেটিকক্সের থি-পিসের মজুরি (ইনারসহ) ৬শ’ টাকা পর্যন্ত। ৪শ’ টাকার পাঞ্জাবির মজুরি এবার ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে সমিতি।

 রমজান শেখ নামে এক ক্রেতা ছিট কাপড়ের ও তৈরি পোশাকের মজুরি বৃদ্ধির ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলেন, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো ত দাম বাড়াচ্ছে। ফলে সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

মোহনা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানের আগে গজ কাপড়ের দাম যা ছিলো এখন তার চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।