ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস হাউজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন

এখন সময়: সোমবার, ৬ মে , ২০২৪, ১২:৫৭:৩৯ এম

 

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা : ভোমরা কাস্টমস হাউজ দ্রুত চালু করা ও আমদানিযোগ্য সকল পণ্যের অনুমতি প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কাস্টমস হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কাস্টমস হাউজ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন।

মানববন্ধনে ভোমরাকে পূর্র্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, কাস্টমস হাউজ দ্রুত তৈরি করে আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম বেগবান করতে হবে। সব ধরনের পণ্য আমদানিসহ বন্দরটি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভোমরাস্থল বন্দর দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হওয়ার পরেও কিছু কুচক্রী মহলের কারণে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বন্দর দিয়ে সকল পণ্য আমদানি করার পরিবেশ থাকলেও কাস্টমস হাউজ চালু না থাকায় সেটি হচ্ছে না। নামমাত্র কয়েকটি পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানী হয়। বন্দরের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা না থাকায় ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। কাস্টমস্ হাউজ চালু হলে বছরে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মানববন্ধনে সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ভোমরা স্থল বন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আবু মুসা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান, ভোমরা স্থলবন্দর মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা, ভোমরা ট্রান্সপোর্ট মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক হোতা জাকির প্রমুখ।

মানববন্ধনে ভোমরা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন, ভোমরা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নসহ বন্দরের ৯ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।