Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

কোটচাঁদপুরে দুম্বার মাংস দুস্থদের মাঝে নাম মাত্র বিতরণের অভিযোগ

এখন সময়: সোমবার, ১৯ মে , ২০২৫, ০২:৪৯:৪৫ পিএম

 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুরে সৌদি সরকারের দেয়া দুম্বার মাংস দুস্থদের মাঝে নাম মাত্র বিতরণ করে সিংহভাগ মাংস জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালিরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্তে সাংবাদিকরা গত ৩ দিন ধরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ধর্ণা দেয়ার পর তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে।

গত ২৯ জানুয়ারি সাংবাদিকরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দপ্তরে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। এসময় দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী সাব্বির হোসেন জানান, স্যারের নির্দেশ ছাড়া কোন তথ্য দেয়া যাবে না। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। দ্বিতীয় দিন পুনরায় এ দপÍরে গেলে অফিস সহকারী যথানিয়মে বলেন, পিআইও স্যারের নির্দেশ ছাড়া কোন তথ্য দিতে পারবো না। অফিসে না থাকায় দ্বিতীয় দিনও মোবাইল ফোনে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে ইউএনও উছেন মে র সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন, পিআইও এর সাথে কথা বলে তথ্য নিন। অবশেষে ইউএনও এর নির্দেশে পিআইও ফোন রিসিভ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে রাজি হন।

অফিস সূত্র জানায়, গত ১১ জানুয়ারি সৌদি সরকার প্রদত্ত ১৪ কার্টন মাংস পাওয়ার পর ১ কার্টন করে ৫ ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫ কার্টন ও পৌর মেয়রকে ১ কার্টন মাংস দেয়া হয়। বাকি ৮ কার্টন পৌরসভার ৬টিসহ ইউনিয়নের মোট ১৬ এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি কার্টনে ১০ পিস করে দুম্বার মাংস ছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রতি কার্টন সর্বোচ্চ ৪ টুকরা করে ছিলো বলে জানানো হয়। সে হিসেবে ১৬ টি মাদরাসা ও এতিমখানায় ২ পিস করে মাংস দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ প্রতি কার্টনে ১০ পিস করে মাংস ছিল। সে হিসেবে কার্টন ভেঙে এতিমখানাগুলোতে দেয়া হয় মাত্র ১৬ পিস। বাকি ৬৪ পিস মাংস কর্তৃপক্ষ পছন্দের মানুষসহ নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাঙ্গি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, অল্প পরিমাণ মাংস পাওয়ায় বাইরের কাউকে না দিয়ে সকল ইউপি সদস্য, চৌকিদার, সচিব ও উদ্যোক্তাদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।

কুশনা চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম সবুজ বলেন, দুম্বার মাংস আমার অধীনস্থ সকলের মাঝে ভাগ করে দিয়েছি।

সাফদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, আমি দুস্থদের মাংসে হাত দেইনি। উপজেলা থেকে এনেই বন্টন করে দিয়েছি। তবে কাকে বা কোন প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন তা বলেননি।

ওই পরিষদের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, দুম্বার মাংস ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। তবে চৌকিদারদের কাছে শুনেছি তারা মাংস পেয়েছে।

দোড়া চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস বলেন, আমি বিশেষ কিছু বলতে পারব না। সচিব সাহেব ভালো জানেন।

সচিব তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুম্বার মাংস সকল ইউপি সদস্য, চৌকিদারসহ পরিষদের অন্যান্যদের মাঝে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছে।

বলুহর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলছেন, আমি মাংস নিয়ে এতিমখানায় বিতরণ করেছি। পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, পৌরসভার অস্থায়ী দরিদ্র কর্মচারী ও সাধারণ দুস্থদের মাঝে এ মাংস বিতরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাযথ ভাবে দুম্বার মাংস বন্টন করেছি। জনপ্রতিনিধিরা যদি কোন অনিয়ম করে থাকে তাহলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ধাপে দুম্বার মাংস আসার কারণে কোটচাঁদপুরে আসা কার্টনে মাংসের পরিমাণ কম থাকতে পারে ।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)