প্রতিবন্ধী মেধাবী বিশ্বজিতকে ল্যাপটপ দিলেন ইউএনও

ঝিকরগাছা প্রতিনিধি: জন্ম থেকেই দুই পা অচল। মেরুদণ্ডের হাড়ও বাঁকা। সোজা হয়ে বসতে পারেন না। মা-বাবা বাঁশ-কঞ্চি দিয়ে ঝুড়ি-ডালা বোনেন। তবে শারীরিক ও আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে বাধা হতে পারেনি। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। এসএসসিতে শার্শা উপজেলায় প্রথমস্থান অর্জন করেন। পরে ভর্তির সুযোগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ)। বলছি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রাজবাড়িয়া গ্রামের শ্যামপদ দাস ও সুষমা দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাসের কথা। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

আর্থিক অনটনে কোনো মতে দিন পার হয় বিশ্বজিতের পরিবারের। সন্তানের পড়ালেখার খরচ জোগান দিতে হিমশিম খান তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে দিতে হবে ১৪ হাজার টাকা। কোনো উপায় না পেয়ে বিশ্বজিৎ ফুডপান্ডার মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার কাজ নেন। এ কাজে সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে তাকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এর বিনিময়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ চলে।

অদম্য প্রতিভাবান সেই বিশ্বজিৎ দাসকে একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। রোববার ইউএনও কার্যালয়ে বিশ্বজিতের হাতে ল্যাপটপটি তুলে দেন।

বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ল্যাপটপটি দিয়ে আমার লেখাপড়ার কাজের পাশাপাশি আউটসোর্সিং কাজ করে আয় করতে পারবো।

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে বিশ্বজিৎকে ল্যাপটপ দেয়া হয়েছে। উপকার হবে জেনে দেয়া হলো। আমার অফিসের খরচ বাঁচিয়ে এটা কেনা হয়েছে।