বিল্লাল হোসেন : যশোরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে নামমাত্র বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এরমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানে বড় বড় সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকলেও চিকিৎসক থাকে না নিয়মিত। অভিযোগ উঠেছে, রোগী ও স্বজনদের সাথে চিকিৎসা প্রতারণার লক্ষ্যে মালিকপক্ষ এমন অনিয়ম করে চলেছেন।
বিগত দিনে সিভিল সার্জনের নির্দেশে এমন একাধিক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হলেও তা আগের মতো করে চলছে। যশোর শহরের ঘোপএলাকার ৫টি ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিকের সাইনবোর্ডে চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারা, চিকিৎসক না থাকা ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে বিগত দিনে একাধিক হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বন্ধ করে দেয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেÑ যশোর শহর ও সদর উপজেলার হাসনা আকবর মেমোরিয়াল, মিডপয়েন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আইডিয়াল প্যাথলজি সেন্টার, নিরাময় ক্লিনিক, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এএফসি, হেলথ ফোরটিস, আলিফ ট্রমা সেন্টার, মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক, পিস হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আল হায়াত হাসপাতাল এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার, সিটি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগন্টিক সেন্টার, যশোর আই কেয়ার এন্ড লেজার সেন্টার, রাহিমা ফিজিওথেরাপি সেন্টার হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শার্শা উপজেলার রজনী ক্লিনিক, পল্লী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জোহরা ক্লিনিক , ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা-মনি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উপলক্ষ ক্লিনিক। ঝিকরগাছার বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার , স্টার হসপিটাল, সায়রা সার্জিক্যাল, আনিকা ক্লিনিক, ফেমাস মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক, এস এস ক্লিনিক, আয়শা ক্লিনিক, শাপলা ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক , সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চৌগাছা উপজেলার মায়ের দোয়া পাইভেট ক্লিনিক, মধুমতি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বাঘারপাড়া উপজেলার খাজা বাবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা মনি ক্লিনিক, রহিমা প্রাইভেট হাসপাতাল, নারিকেল বাড়িয়া ক্লিনিক, প্রথমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মরিয়ম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আনোয়ারা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাতেমা ক্লিনিক , হানি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অভয়নগর উপজেলার ল্যাব ওয়েব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নেহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মণিরামপুর উপজেলার মনোয়ারা ক্লিনিক,জিনিয়া প্যাথলজি সেন্টার, ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফাতেমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তফি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক, রিজু হাসপাতাল, রাজগঞ্জ ক্লিনিক ,স্কন হাসপাতাল, পার বাজার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রয়েল প্যাথলজি, সেভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সিভিল সার্জন অফিস আরও জানিয়েছে, নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা, প্যাথলজিস্ট ও উন্নত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা না করে এরমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠান ফের অবৈধভাবে চালু করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, সামনে ডাক্তারের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকলেও বাস্তবে যেখানে কোন চিকিৎসক বসেন না; এমন হসপিটাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিহ্নিত করা হচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে প্রতারণার সুযোগ দেয়া হবেনা। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত নজর রাখার জন্য প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।