Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মাগুরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

এখন সময়: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ০৩:৪৯:০৮ পিএম

 

শাহীন আলম তুহিন, মাগুরা : মাগুরা জেলায়  গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। যা সপ্তাহের ব্যবধানে রোগী বেড়েছে দ্বিগুণ।

মাগুরা সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে সদরে ৩৬ জন, শ্রীপুরে ১১ জন, মহম্মদপুরে ২০জন ও শালিখায় ১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। জেলার ৪ উপজেলায় বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে মোট ১২২ জন। এর মধ্যে সদরে ভর্তি ৭৩ জন, শ্রীপুরে ২৪ জন, মহম্মদপুরে ২৩ জন ও শালিখায় ২ জন।

পরিসংখ্যায় থেকে দেখা যায়, মাগুরা সদরে ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি। এ বছর জানুয়ারি থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত জেলার ৪ উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মোট ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১২ জন। ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে মোট ১ হাজার ৮শত ৯০ জন।  

এদিকে, জেলায় দিন দিন ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়াতে সচেতনমহল স্বাস্থ্য সেবার প্রতি নানামুখি ক্ষোভ  প্রকাশ  করছেন। সোমবার সরেজমিন মাগুরা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মোট ৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে সাধারণ বেডের সংখ্যা রয়েছে ৪০টি। কিন্তু বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফ্লোরে অবস্থান করছেন রোগীরা।

ডেঙ্গু আক্রান্ত মাগুরা সদরের পারনান্দুয়ালী গ্রাামের আব্দুর রহমানের মাতা নাছিমা খাতুন  জানান, আমার ছেলের আজ ৩ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। জ্বর থাকা অবস্থায় তার শরীরে নানা রকম খিচুনি হয়, শরীর অবশ হয়ে আসে পরে আজ তার ডেঙ্গু পজেটিভ হলে আমরা তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

সদরের সংকোচখালি গ্রামের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ফারহান (৫৫) এর ভাই শাহ আলম বলেন, আমার ভাইয়ের সোমবার ডেঙ্গু পজেটিভ ধরা পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন তার অবস্থা আশংকাজনক নয়। খুব তাড়াতাড়ি সে সুস্থ হবে।

মাগুরার নবাগত সিভিল সার্জন মো. শামীম কবির বলেন, আমি ৫ দিন এখানে যোগদান করেছি। বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি একটু খারাপ। আমি ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের নিয়ে সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছি। সেখানে যাতে রোগীরা পর্যাপ্ত স্বল্প মূল্যে ওষধ ও স্যালাইন পায় সেই জন্য জেলা ড্রাগস্ সমিতি, মেডিকেলে রিপ্রেজেনটিভ ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টিমের সাথে আলোচনা করেছি। এখন থেকে হাসপাতাল এলাকার ওষধের দোকান গুলোতে স্বল্প মূল্যে রশিদের বিনিময়ে ওষধ ও স্যালাইন বিক্রি করা হবে। রশিদ ছাড়া কোন ওষধ বিক্রি হবে না। এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার কাজ করবে। ওষধ ও স্যালইন সংকট আমাদের নেই। বর্তমানে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে কোন গুরুতর রোগী নেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ায় আরো ৩ জন চিকিৎসক আগামীকাল থেকে কাজ করবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)