জাতীয় যুব কাউন্সিলর প্রতিনিধি হলেন পল্লব

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:২৪:২৯ এম

 

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : জাতীয় যুব কাউন্সিলের ঝিনাইদহ জেলার প্রতিনিধি হলেন কালীগঞ্জের দোয়েল যুব উন্নয়ন সংস্থা’র পরিচালক পল্লব কুমার মৈত্রেয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদফতরের জাতীয় যুব কাউন্সিলের বিধিমালা-২০২১ অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৪ (দুই বছর) মেয়াদী সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত বুধবার পল্লবকে সদস্য করা হয়েছে।

জানা যায়, দেশের ৫ কোটি যুবকের মধ্য থেকে যাচাই ও বাছাই প্রক্রিয়া শেষে প্রতিটি জেলা হতে ১ জন করে মোট ৬৪ জন প্রতিনিধি চুড়ান্ত করা হয়। এছাড়াও বিশেষ শ্রেণিভুক্ত যুব ৬ জন এবং অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত যুব ৫ জন মোট ৭৫ জনকে সাধারণ পরিষদে যুব প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মোতাবেক ডাকযোগে প্রতিটি জেলা প্রতিনিধিদের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলার একমাত্র যুব প্রতিনিধি পল্লব কালীগঞ্জ শহরের মধুগঞ্জর বাজারের সুশান্ত কুমার মৈত্রেয়। তিনি দোয়েল যুব উন্নয়ন সংস্থা’র পরিচালনার পাশাপাশি নানান সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন।

পল্লব  জানান, ২০২০ সালে স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে মানবকল্যাণে আত্মনিবেদন করেন। সেই থেকে বন্যা, জ¦লোচ্ছাস, বিপদগ্রস্থদের উদ্ধার, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও নানা জন্যকল্যাণকর কাজে যুক্ত ছিলেন। এসব কাজে তিনি সাহসী ও গৌরবময় সেবায় স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ স্কাউটসের ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। ২০২০ সালে নম্বর টু দি ন্যাশনাল সার্ভিস এবং ২০২১ সালে ন্যাশনাল সার্টিফিকেট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এরপর ২০২৩ সালে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল সার্ভিস ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রার্থী হয়েছেন।

পল্লব আরো জানান, জেলাব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিতর্ক ও সৃজনশীল কর্মকান্ডসহ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ ও বলিষ্ঠ  নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশে এসে পৌঁছেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা গঠনে ২০৩০ সালের এসডিজি পরিকল্পনায় ১৭ টি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে গেলে যুব সমাজের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় যুব কাউন্সিল দেশ-বিদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবেন বলে তিনি মনে করেন। দেশের ৬৪ জেলার ৭৫ যুব প্রতিজনই এক একটি স্থম্ভ হিসেবে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে যুবারা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে শীঘ্রই মুক্তি পাবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।