যশোরে শহিদ মিনার নেই ১ হাজার ৫২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৩:৩৬:৫৩ পিএম

মিরাজুল কবীর টিটো : যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। অথচ জেলার ২ হাজার ২৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১ হাজার ৫২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই নেই শহিদ মিনার। জেলা মাধ্যমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া তথ্যে এটা জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১ হাজার ৩৯টি বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে সদরে ২৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ২২৬টিতে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। চৌগাছার ১৩৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৩১টি বিদ্যালয়ে। ৮টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। ঝিকরগাছার ১৩১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১১২টি বিদ্যালয়ে। ১৯টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। কেশবপুরের ১৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৪১টিতে। ১৭টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। শার্শার ১২৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১০১টি বিদ্যালয়ে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। অভয়নগরের ১১৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১০১টিতে। ২৪টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। মণিরামপুরের ২৬৭টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ১৮২টি বিদ্যালয়ে । ৮৫টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। বাঘারপাড়া ১০২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার নেই  ৮২টি বিদ্যালয়ে। ২০টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। এদিকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, জেলার ১ হাজার ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৪৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।  ৫১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে।
এর মধ্যে সদরের ২২১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৬০টিতে। ১৬১টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। অভয়নগরের ৯২টি বিদ্যালয়,কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার নেই৬০টি প্রতিষ্ঠানে। ৬২ টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। বাঘারপাড়ার ৮৯টি বিদ্যালয়,কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৪৭ টি প্রতিষ্ঠানে।৪২টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। মণিরামপুরের ২০৫টি বিদ্যালয়, কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৮৬টি প্রতিষ্ঠানে। ১১৯টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। কেশবপুরের ১৩৮টি বিদ্যালয়, কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৯২টি প্রতিষ্ঠানে। ৪৬টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। চৌগছার ৮০টি বিদ্যালয়,কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৪৭টি প্রতিষ্ঠানে। ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। ঝিকরগাছার ৯৩টি বিদ্যালয়, কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৭৩টি প্রতিষ্ঠানে। ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে। শার্শার ৮৩টি বিদ্যালয়, কলেজের মধ্যে শহিদ মিনার নেই ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে। ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার আছে।
এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম জানান, প্রতিটি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে শহিদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা নিজ  খরচে প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণ করবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের সামর্থ নেই, ওই প্রতিষ্ঠান শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের আবেদন করবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ নেই। যে যে এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, প্রধান শিক্ষক ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় শহিদ মিনার নির্মাণ করবে। যদি কোনো বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাশর্^বর্তী বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকলে সেখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।