মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

তাহলে বাকপ্রতিবন্ধী শম্পাকে ধর্ষণ ও হত্যা করলো কারা ?

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:১৫:০৮ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিকরগাছার চাঁপাতলা গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী শম্পা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িতরা চাপা পড়েই গেলো। সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে না পারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক সুমন ভক্ত। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে শম্পাকে ধর্ষণ ও হত্যা করলো কারা ?

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চাঁপাতলা গ্রামের মৃত শের আলীর স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে মনোয়ারা বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে শম্পাকে নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করতেন। ২০২২ সালের ৭ মার্চ রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে শম্পা ও তার মা মনোয়ারা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে মনোয়ারা ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার মেয়ে শম্পা মশারি পেঁচানো অবস্থায় খাটের নিচে মৃত পড়ে আছে। বাড়ির অন্যরা ঘরে যেয়ে শম্পার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য এসআই আমির হোসাইন ঝিকরগাছা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। এরপর তিনি শম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মার্গে পাঠায়। শম্পা খাতুনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর অপমৃত্যু মামলার এসআই আমির হোসাইন বাদী হয়ে ওই বছরের ৪ জুলাই অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। 

এ মামলার তদন্ত শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যাকারী শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় আদালতে চুড়ান্ড প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে এ ঘটনার জড়িত কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হলে ও সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলাটি পুনরুর্জ্জীবিত করা হবে বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।