জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা

ভৈরব নদে সৌন্দর্য বর্ধনে বাধা তিনতলা ভবন উচ্ছেদ জরুরি

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:৫২:২৫ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভৈরব নদের যশোর দড়াটানার পাশে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। অথচ ভৈরবে উত্তর পাশে আরএ থিরাপি সেন্টারের তিনতলা ভবন  উচ্ছেদ না করার ফলে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। ভবনটি উচ্ছেদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইদুর রহমান।

যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে রোববার অনুষ্ঠিত  জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন শার্শার হাকোর নদীতে খনন কাজ চলছে। কিন্তু  নদীর শহরাংশে বেশ কিছু স্থাপনার কারণে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য  সার্ভেয়ার চাওয়া হয়েছিল মাপামাপি করার জন্য। শার্শা সহকারী কমিশনার ভুমি ফারজানা ইসলাম জানান হাকোর নদীর ধারের বেশ কিছু স্থাপনা নিয়ে মামলা হয়েছে। এ কারণে এ বিষয়ে কাজের তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন হাকোর নদীর কিছু স্থাপনা নিয়ে মামলা হয়েছে। সেই কপি পানি  উন্নয়ন বোর্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব তুষার কুমার পাল বলেন, যশোর শহরের ভৈরব নদের উত্তর পাশে ভবনের বিষয়ে উপজেলা ইউএনও ও এসিল্যান্ড অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসার পর উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু শুরু করা হবে।

একই সাথে অনুষ্ঠিত মাসিক রাজস্ব সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব তুষার কুমার পাল আরো বলেন গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারির ২০ তারিখ ভূমি কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি টাকা। তিনি বলেন ৬টি উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ভূমি অফিসগুলো হচ্ছে সদরের ইছালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস,ঝিকরাগাছার বাঁকড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, নারায়নপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা ইউনিয়ন ভুমি অফিস, অভিয়নগরের মথুরামপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, মণিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হরিহরনগর ইউনিয়ন ভুমি অফিস, চালুয়াহাটি ইউনিয়ন ভুমি অফিস। সেই সাথে চতুর্থ ধাপে চার উপজেলা আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৫৪টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে। এর মধ্যে সদরে ৫৮টি, মণিরামপুরে ৩০টি, শার্শা ৪৬টি ও ঝিকরগাছায় ২০টি। এসব ঘর বরাদ্দ দেয়ার লক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে এসিল্যান্ডদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আবু নওশাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবীর হোসেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  নারায়ন চন্দ্র পাল, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক, বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজস্ব শাখার ডেপুটি কালেক্টর নাজিব হাসান।