Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

নকআউট পর্বে ব্রাজিল

এখন সময়: রবিবার, ১৩ জুলাই , ২০২৫, ০১:৫০:৪৫ পিএম

ক্রীড়া ডেস্ক :

ঝুঁকি নিয়ে জয়ের জন্য খেলাবেন দুই কোচ, নাকি এক পয়েন্টের জন্য বেছে নেবেন নিরাপদ পথ। প্রশ্নটা উঠতে না উঠতেই থামিয়ে দিল ব্রাজিল। দলের সেরা তারকাকে ছাড়া খেলতে নেমে একটু রঙ হারালেও ড্রয়ের জন্য খেলার দল তো তারা নয়। তাই চালিয়ে গেল আক্রমণ, শেষে পেয়ে গেল ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল।

দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সোমবার ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তিন পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন কাসেমিরো, ৮৩তম মিনিটে।

আক্রমণে তারকার অভাব নেই। গতিময় ফরোয়ার্ড, উইঙ্গার আছে ঢের। কিন্তু নেইমারের মতো সৃষ্টিশীল ফুটবলারের অভাব তো পূরণীয় নয়। পিএসজি ফরোয়ার্ডের অভাব টের পাওয়া গেছে শুরু থেকেই। তার উপস্থিতিতে যতটা ধারাল হয়, তার ধারেকাছেও ছিল না ব্রাজিলের আক্রমণ।

তবে ব্যবধান যেমন বলছে ততটা কষ্টের ছিল না ব্রাজিলের জয়। রক্ষণের খুব একটা পরীক্ষা দিতে হয়নি। সার্বিয়ার মতো সুইজারল্যান্ডও ব্রাজিলের বিপক্ষে কোনো শট রাখতে পারেনি লক্ষ্যে। মূলত ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় ভুগেছে লাতিন আমেরিকার দলটি।

বরাবরের মতো আক্রমণাত্মক শুরু করে দলটি। প্রথম সুযোগ তৈরি করে তারাই। অসুস্থতা কাটিয়ে খেলা লুকাস পাকেতার ফ্লিকে খুব ভালো জায়গায় বল পেয়ে যান রিশার্লিসন। একটুর জন্য তিনি ডি-বক্সে ভিনিসিউস জুনিয়রকে বল পাঠাতে পারেননি। ঠাণ্ডা মাথায় ক্লিয়ার করেন নিকো এলভেদি।

সাত মিনিট পর একটুর জন্য মেলেনি গোল। সুইজারল্যান্ডের চারজনের ঘেরের মধ্য থেকেই ভিনিসিউস খুঁজে নেন পাকেতাকে। তার ক্রসে সুযোগ ছিল রিশার্লিসনের সামনে। কিন্তু তিনি পারেননি স্লাইড করে বলে পা ছোঁয়াতে। সেই সুযোগে বিপদমুক্ত করেন এলভেদি।

২৭তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ব্রাজিলের। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার চমৎকার ক্রসে ভিনিসিউসের কাছের পোস্টে নেওয়া দুর্বল ভলি ঠেকিয়ে দেন ইয়ান সমের। বেঁচে যায় সুইজারল্যান্ড।

বাকি সময়ে গোলের খুব ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই।

৫৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের সেরা সুযোগটি পায় সুইজারল্যান্ড। তবে সিলভান উইডমার ক্রসে ফাবিয়ান রিডারের শট গোললাইনের সামনে ব্লক করে ব্রাজিলের ত্রাতা ভিনিসিউস!

দুই মিনিট পর তার ক্রসেই সুযোগ পায় ব্রাজিল। কিন্তু দারুণ চেষ্টার পরও একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি রিশার্লিসন। বল জালে পাঠাতে স্রেফ একটা টোকার দরকার ছিল।

৬৪তম মিনিটে চমৎকার নৈপুণ্যে বল জালে পাঠান ভিনিসিউস। কিন্তু মেলেনি গোল, ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি বাজান অফসাইডের বাঁশি। আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন রিশার্লিসন।

৮৩তম মিনিটে ভিনিসিউসের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন কাসেমিরো। মানুয়েল আকনজির গায়ে মৃদু স্পর্শ করে একটু দিক পাল্টানো বল ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের।

চার মিনিট পর কাছাকাছি জায়গা থেকে কাছের পোস্টে রদ্রিগোর শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান সমের।

যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভিনিসিউস। ওয়ান-অন-ওয়ানে তিনি এড়াতে পারেননি আকনজির চ্যালেঞ্জ। পরের মিনিটে এই ডিফেন্ডার ব্যর্থ করে দেন রদ্রিগোর চেষ্টা।

টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ব্রাজিল। ৩ পয়েন্ট করে নিয়ে দুই নম্বরে সুইজারল্যান্ড। ১ পয়েন্ট নিয়ে পরে শেষ দুটি স্থানে আছে ক্যামেরুন ও সার্বিয়া।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)