নড়াইল হোমিও প্যাথিক কলেজ পরিদর্শনে হোমিও বোর্ড চেয়ারম্যান

ফরহাদ খান, নড়াইল : বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। হোমিওপ্যাথি শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে শিক্ষকদের নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থেকে সঠিকভাবে পাঠদান করাতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজমুখি করতে একজন শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শনিবার দুপুরে নড়াইল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন শেষে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দিলীপ কুমার আরো বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দেশ-বিদেশে সমাদৃত। বর্তমানে প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। এ কারণে হোমিওপ্যাথিক কলেজের একজন শিক্ষক নিজের পরিচয় তুলে ধরতে এখন গর্ববোধ করেন।

নড়াইল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা: সৈয়দ নাজমুস শাহাদাত পিনুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি ডাক্তার শেখ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি ডাক্তার ইমদাদুল ইসলাম।

ডাক্তার মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সহকারী কন্ট্রোলার তারেকুজ্জামান সোহেল, যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার হাফিজুর রহমান, উত্তরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার আব্দুল আলীম, নরসিংদী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার আতিয়ার রহমান, নড়াইল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাক্তার এসএম হুমায়ুন কবীর, প্রভাষক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম।

বাংলদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডাক্তার অমিত রায়ের মা শিক্ষিকা শিপ্রা দাসের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।