বাগেরহাটে গুলিতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা নিহত

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:৩০:৪৫ এম

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভূঁইয়া (৩৭) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নুরে আলম তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদের গুলিতে তানু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত তানুর বড় ভাই আবুল কাশেম সেলিম ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাইকে ওরা (দুর্বৃত্তরা) গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। নিহতের বোন লোপা বলেন, রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বগা ক্লিনিকের দিকে যায় তানু। কিছুক্ষণ পরেই পরপর চারটা গুলির শব্দ পাই। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা আমার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এদিকে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তানু ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি ফরিদ নামের এক ব্যক্তির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার নামে মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। এছাড়া বন্ধুকধারী ফরিদকে আটক করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ফরিদের নামে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫ মামলা রয়েছে। এ দিকে, বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভূঁইয়া নিহতের ঘটনায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা শনিবার দুপুর ২টার দিকে শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ করে। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।

বিক্ষোভ মিছিলের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক শামিমুর রহমান বলেন, সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা জোরদার ভূমিকা না রাখতে পারে সে জন্য বেছে বেছে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই মূলত পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এই সরকার খুনিদের বিচার করবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তানু হত্যাসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের খুনের বিচার করবো।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, তানু ভূঁইয়া আমাদের রাজপথের সংগ্রামী একজন নেতা ছিলেন। এর আগেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো দুর্বৃত্তরা নয় সরকার দলীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।