নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন- বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শত জুলুম নির্যাতন সহ্য করে, পুলিশের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আমরা রাজপথে লড়াই করেছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। তাও আমরা পিছপা হইনি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সেই লড়াইয়ে শুধু আমরা এক ছিলাম না, আমাদের সাথে ছিল বিএনপি পরিবারের মা ও বোনেরা। আমাদের সাথে তারাও নির্যাতন সহ্য করেছে। তাই আগামী নির্বাচনেও আমাদের সাথে এক হয়ে ধানের শীষের পক্ষে আপনাদের কাজ করতে হবে। শুক্রবার বিকালে যশোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল আয়োজিত স্বজন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজিমাবাদ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সাইদ হাসান হিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর যুবদলের আহবায়ক আরিফ হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক নাজমুস সাকিব জ্যেতি, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবি, ওয়াসি উজ্জল প্রমুখ। অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন- আমি কারাগারে থাকাবস্থায় হাজারো মা-বোন আমার জন্য খাবার পাঠাতেন। এমনকি রোজার সময় আমার জন্য ইফতার পাঠিয়েছিলেন তারা। আমি জেলখানায় থাকাবস্থায় পত্রিকায় খবর বের হয়েছিল আমি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলাম। সেই সংবাদ পড়ে আমার সন্তানের বন্ধুর পিতা পড়ে তাকে বলেছিল আমি জেলখানায়। তখন আমার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্র ছেলে তার মাকে জিজ্ঞাসা করেছিল মা আমার পাপা নাকি জেলখানায়। সেখানেতো অপরাধীরা থাকে। আমার স্ত্রী তাকে কোনো উত্তর দিতে পারেনি। আমার মতো এমন হাজার হাজার নেতাকর্মীর পরিবার এভাবে কষ্ট করেছিলেন। আমাদের অপরাধ ছিল গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই ও মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকার জন্য। সেজন্য আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দেবার জন্য এসব পরিবারকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে পারিবারিক কার্ড চালু করা হবে। সেই কার্ডে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার সহায়তা করা হবে। গত ১৮ বছরেও যশোরে পাঁচশ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যশোরে পাঁচশ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। যশোরের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ পুনরুদ্ধার করা হবে। যেখানে ছেলেরা খেলতে পারে। একটি চলার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলা করতে পারবে। মেধার ভিত্তিতে কোনো টাকা ছাড়াই সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কোনো দল দেখা হবেনা। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির পর খেলা বাধ্যতামূরক করা হবে। বিদেশি ভাষা শেখার ব্যবস্থা করা হবে। ভাষা শিখলে বিদেশে গিয়ে আমাদের দেশের মানুষ বেশি আয় করতে পারবে। তিনি বলেন, আমরা দু:খের দিন পার করে আগামীতে সুদিন আনব শুধু বিএনপির জন্য নয়, সব মানুষের জন্য। সব ধর্মের মানুষ মিলে এক সাথে বসবাস করব। যশোরের মাটিতে কোন সন্ত্রাসীর স্থান হবেনা।