আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে দুদক’র অভিযানের খবর পেয়ে পালালেন উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার মোমিন আহমেদ। প্রাথমিক তদন্তে অর্থ লেনদেনের সত্যতা মিলেছে বলে বলে তিনি জানান। তবে দুদক’র অভিযানের খবর পেয়ে অফিস ত্যাগ করেছেন উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোমিন আহমেদ। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ অর্থ লেনদেনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আমরা বিভিন্ন ছদ্মবেশে অফিসের আশেপাশে অবস্থান করেছি। কিন্তু অভিযানের কথা জানতে পেরে অফিসার অফিস থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। এরপর নিজের ফোন বন্ধ রাখেন। অন্য নাম্বার দিয়ে অফিসের স্টাফদের সাথে যোগাযোগ করলেও দুদকের কোন কর্মকর্তার সাথে তিনি কথা বলেননি।
দুদক কর্মকর্তা আরও জানান, সরকারিকৃত কলেজের ২০০০ সালের বিধি মোতাবেক আশাশুনি সরকারি কলেজের আত্নীকৃত শিক্ষা ক্যাডারে উন্নীত করতে শিক্ষকদের কাছে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোমিন আহমেদ ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। লেনদেন নিয়ে দরকষাকষির এক পর্যায়ে এই অফিসার তার সহকারী শাহারাত হোসেনকে সাথে নিয়ে কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের অফিসে বসে ৪ লাখ ৫০হাজার টাকা নির্ধারণ করেন। দাবিকৃত ঘুষের টাকার ১ম কিস্তি ২লাখ ২৫হাজার টাকা এর আগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে সহকারী অফিসার শাহারাত হোসেন ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোমিন আহমেদ যে টাকা নিয়েছেন তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। অভিযোগের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা হিসাব রক্ষণ হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোমিনের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অফিস সহকারী শাহারাত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ পরে কথা বলবো।