ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে অবস্থিত আবাসনের বাসিন্দা মা-বাবা ও ছেলেকে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে ওই গ্রামের পৈলানপুর আবাসনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আবাসনের বাসিন্দা সাহেব আলী মিস্ত্রীর সাথে তার স্ত্রীর জামিলা খাতুনের বনিবনা না হওয়ায় কয়েকমাস আগে তালাক দেয়। এরপর থেকে জামিলা খাতুন তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে আলামিনকে নিয়ে আবাসনেই থাকেন।
সম্প্রতি ছেলে আলামিন মা ও বাবার মাঝে ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটায়। পরবর্তী গত শনিবার স্থানীয় মৌলভীর মাধ্যমে আবারো জামিলা খাতুন ও সাহেব আলী বিয়ে করেন। রোববার রাত ১০ টার দিকে সাহেব আলী বাড়িতে এলে ওই গ্রামের স্থানীয় আওয়ামিলীগ কর্মী নান্নু মিয়া, আশরাফুল সর্দার, লিটন হোসেন, মওলা সহ তাদের অনুসারী আরও কয়েকজন তাদের মারধর করে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে অনেক টাকা চাঁদা দাবি করে । এক পর্যায়ে সাহেব আলী, জামিলা খাতুন ও তাদের ছেলে আলামিনকে ঘরের সামনে খুঁটির সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। রাতভর নির্যাতনের পর ভোররাতে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।
সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি লিশা খান জানান, জামিলা খাতুন মহিলা দলের কর্মী। সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে তার পাশে দাঁড়িয়েছি। জামিলা খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।