নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঘারপাড়ার দর্গাহপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে মারপিট ও চাঁদাদাবির অভিযোগের দুইজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার অধ্যক্ষ ফিরোজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় অভিযোগের তদন্ত করে বাঘারপাড়া থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলো, ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিনের ছেলে, মাদ্রাসার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রবিউল ইসলাম ও তার দোকানের কর্মচারী আশরাফ আলী খানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ফিরোজুল ইসলাম দীর্ঘ বছর ধরে সুনামের সাথে দর্গাহপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৩ অক্টোবর মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের দিন ছিল। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষের সাথে আসামি রবিউল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার কথামত নির্বাচন করতে বলেন। এতে অধ্যক্ষ রাজি না হওয়ায় রবিউল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে আসামি রবিউল দর্গাপুর বাজারে তার দোকানে মাদ্রাসার অন্যান্যদের ডেকে অধ্যক্ষকে হুমকি দেন। ১২ অক্টোবর অধ্যক্ষ মাদ্রাসার পাশে ঈদগাহের সামনে পৌঁছুলে আসামি রবিউল ও তার কর্মচারী জাহিদুল গতিরোধ করে মারপিট করে জখম এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনার পর মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক সভা করে আসামি রবিউলকে মাদ্রাসা বাউন্ডারিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। অধ্যক্ষ কিছুটা সুস্থ হয়ে মাদ্রাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) অবহিত করে তিনি এ মামলা করেছেন।