সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর : কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নে মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতায় প্লাবিত হয়ে আছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে যেতে হয় বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে।
কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের পূর্বাংশের শেষ প্রান্তের অবহেলিত গ্রামটির নাম বাগডাঙ্গা মনোহরনগর। উপজেলা সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন এই গ্রামে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এই গ্রামে একেবারে শেষ প্রান্তে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। যা গত ৫১ বছর অবহেলিত জনপদে জ্ঞানপিপাশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে চলেছে।
রোববার সকালে মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনকালে দেখা গেছে বিদ্যালয়টির ময়দান গত তিন বছর যাবত প্লাবিত হয়ে আছে। বিদ্যালয়টির ১৯০ জন শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যেতে হয়। বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী তন্বী সরকার জানায়- গত তিন বছর যাবত আমাদের বিদ্যালয়টি প্লাবিত হয়ে আছে। যাতায়াতের জন্য আমাদের খুব সমস্যা হয়।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুল জানান- বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন প্লাবিত থাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে খুব সমস্যা হয়। তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখ হতে বিদ্যালয়ের ভবন পযর্ন্ত যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
মনোহরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিও চক্রবর্তী দৈনিক স্পন্দনকে বলেন- বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন প্লাবিত থাকায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এরপর প্রবেশ মুখ থেকে ভবন পযর্ন্ত যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয় কতৃপক্ষ থেকে পাকা রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হবে বলে জানান।