Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

তথ্য গোপন করে সনজিৎ প্রধান শিক্ষক, তদন্তে মিলেছে সত্যতা

এখন সময়: বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ১২:৫৭:৪৬ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষক পদের চেয়ার দখল ও সরকারি অর্থ উত্তোলন করে আসছেন মণিরামপুরের হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বিশ্বাস। আর তার এসকল কাজের সহযোগিতা করেছেন দু’জন সরকারি কর্মকর্তা। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা ঝড় উঠেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা যায়, হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বিশ্বাস ২০২৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর এক ইন্টারভিউ মাধ্যমে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নির্বাচিত হন। মণিরামপুর উপজেলা তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার তার নিয়োগ পাবার সকল ব্যবস্থা করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সনজিৎ কুমারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় একাধিক তৃতীয় বিভাগধারী যেখানে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ নেই। সেখানে একাধিক তৃতীয় বিভাগধারী সনজিৎ কুমার বিশ্বাসকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনীত করা হয়।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, সনজিৎ কুমার বিশ্বাস ১৯৯২ সালে এইসএসসি তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৯৫ সালে বিএ  তৃতীয় বিভাগে পাস করেন।

জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী ক্রমিক নম্বর ৯ এ বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে একের অধিক তৃতীয় বিভাগ/সমমান গ্রহণযোগ্য হবে না।

প্রশ্ন উঠেছে, সনজিৎ কুমার বিশ্বাসের দুইটিতে তৃতীয় বিভাগ পাস থাকলেও কিভাবে তাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনীত করেন।

অভিযোগ উঠেছে, তার এই কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় এমপিও ভুক্তি করতে যত বিপত্তি ঘটে। সে সময় শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার এমপিও ভূক্ত না করিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যান।

সূত্র জানায়, ২০২৪ সালে মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন আকরাম হোসেন। যোগাদানের পর ওই কর্মকর্তা আকরাম হোসেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণির পাস সনদে দ্বিতীয় শ্রেণি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বিশ্বাসকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে এমপিভুিক্ত করান। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এদিকে, এলাকাবাসীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ সরেজমিনে হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয়টি তদন্তে যান।

শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষক সনজিৎ কুমারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক। তবে, নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)