নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আদালতে দায়ের করা পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ জুন যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের কার্যালয়ে।
আসামি করা হয়েছে, আলাল গ্রুপের একাত্তর ইন্টিগেশন ফার্মের হিসাব রক্ষক মাজিদুল হক লিমনকে (৩০)। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টডাঙ্গা গ্রামের মৃত লতিফুর রহমানের ছেলে।
আলাল গ্রুপের বসুন্দিয়া মোড় কার্যালয়ের ইনচার্জ সাদ্দাত হোসেন লুইস এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি কোম্পানির মুরগির বাচ্চা ও ফিড বিভিন্ন খামারে সরবরাহ করে থাকেন। খামারীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ওই টাকা কোম্পানির একাউন্টে জমা দেয়া হয়। আসামি লিমন টাকা জমা দেয়ার জন্য ইসলামী বাংকের এজেন্ট শাখায় যেতেন। তিনি বিভিন্ন খামারীদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ওই টাকা গত ১৫ জুন লিমনকে দিয়ে ব্যাংকে পাঠান। সাথে ছিলেন কোম্পানির কর্মী সাজিদুল ইসলাম। তাকে বাইরে দাড় করিয়ে লিমন টাকা নিয়ে বাংকের কার্যালয়ের ভিতরে ঢোকেন। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। কিছু সময় অপেক্ষা করে সাজিদুল ভেতরে গিয়ে তাকে পাননি। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে লিমন ওই টাকা জমা না দিয়ে চলে গেছেন। পরে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলে আপোষ মিমাংশা করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। পরে আদালতের ওই পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড হয়।