ক্রীড়া প্রতিবেদক : জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে শুক্রবার দেশের সব জেলায় প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি এ কর্মসূচির আওতায় যশোরেও হয় প্রতীকী ম্যারাথন। যার অগ্রভাগে ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ ৩ পরিবারের সদস্যদেরকে সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। প্রতীকী ম্যারাথনে দেড় শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে ১৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কৃতরা হলেন হাসান সরদার, জিহাদ হোসেন, আরাফাত, মফিজুর রহমান, শাহরিয়ার আহমেদ, কাজী তামিম, এস আই আজমল, আব্দুল কাদের, ফারুক হোসেন, হাসিবুল হোসেন, আরিফ মিয়া, রেজাউল হক, ফাহিম হোসেন ও সৌরভ হাসান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে যশোরে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে প্রতীকী ম্যারাথন। প্রতীকী এই ম্যারাথনে প্রায় ৬ কিলোমিটার পাড়ি দেন অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বয়সীরা। এই ম্যারাথনের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। শুক্রবার সকাল ৭টায় শহরের নতুন খয়েরতলা ভাস্কর্য মোড়ের সামনে প্রতীকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। পরে সেখান থেকে শুরু হওয়া প্রতীকী ম্যারাথন শহরের পালবাড়ি, ঢাকা রোড, কাঁঠালতলা, উপশহর মোড় হয়ে জেল রোড, দড়াটানা দিয়ে মুজিব সড়ক, ঈদ মোড় ঘুরে যশোর টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এ কর্মসূচিতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, পুলিশ সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ শহরের স্বাস্থ্য সচেতন সংগঠন ‘ভোরের সাথী’র বিভিন্ন বয়সীরা অংশ নেন। এ উপলক্ষ্যে টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে আয়োজন করা হয় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন। যেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের ভেতরে একধরনের জাগরণ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ম্যারাথনটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে সকালের যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সেটি অংশগ্রহণকারীরা দেখতে পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা রক্ত দিয়েছেন একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, আজকের এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে সেই কাজ শুরু হলো। যতদিন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হয়, আমাদের কাজের ম্যারাথন ততদিন চলবে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোন্দকার জাকির হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একই মঞ্চে শহীদ আবদুল্লাহ, শহীদ ইমতিয়াজ জাবের, শহীদ তৌহিদুর রহমানের পরিবারের হাতে সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়।