নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটরসাইকেলের গ্যারেজ বা শো-রুম থেকে দেশি-বিদেশি ও নামি-দামি কোম্পানির খালি বোতল সংগ্রহ করে তাতে নিম্নমানের লুব্রিকেন্ট ঢুকিয়ে বাজারজাত করতো যশোর শহরের বেজাপাড়া এলাকার আরবি অটো নামে মোটর পার্টস প্রতিষ্ঠান। বোঝার উপায় থাকতো না সেগুলো খোলা এবং মানহীন লুব্রিকেন্ট। বছরের পর বছর অভিনব কায়দায় বোতলজাত মবিল প্রতারণা করে যশোরে বাজারজাত করে আসছিলো এই প্রতিষ্ঠানটি। যার মালিক বেজপাড়া মেইন রোডস্থ দরবেশ বাড়ির আশিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের কর্মকর্তারা। অভিযানে ধরা পড়ে প্রতিষ্ঠানটির জালিয়াতি। এদিন তার কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের খোলা মবিল, খালি ক্যান এবং বোতলজাত মবিল জব্দ করা হয়। এ সময় কারখানার মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোরের সহকারি পরিচালক সেলিমুজ্জামান। এসময় কৃষি বিপনন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহাসহ র্যাব ও পুলিশের দুটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যশোরের সহকারি পরিচালক সেলিমুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি বেজপাড়াতে একটি ভেজাল মবিল কারখানা রয়েছে। আরবি অটো নামে প্রতিষ্ঠানটি বিদেশী স্বনামধন্য ব্যান্ডিং মটুল, মবিল, হিরো, ইয়ামাসহ কয়েকটি নামকরা ব্যান্ডিং মোবিল খালি ক্যানে নিম্নমানের মবিল ভরে বাজারজাত করতো। এতে এসব ব্যান্ডের সুনাম যেমন ক্ষুন্ন হতো, তেমনি দ্রুত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হতো। অভিযানে নকল মবিল নষ্ট করা হয়েছে। এবং ভোক্তা অধিকার ২০০৯ সালের ৫০ ধারা অনুযায়অ দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।