নিজস্ব প্রতিবেদক: কেশবপুরের বহুলালোচিত আয়েশা খাতুন ওরফে সোহাগী দাসকে আটক রাখার অভিযোগে বাবা-মার বিরুদ্ধে নির্বাহী আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার কেশবপুরের সাতবাড়িয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ও আয়েশা খাতুনের স্বামী আব্দুর রহিম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। নির্বাহী আদালতে বিচারক অভিযোগের শুনানি শেষে আয়েশা খাতুন ওরফে সোহাগী দাসকে আদালতে হাজির করার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ। বিবাদীরা হলো, কেশবপুরের বালিয়াডাঙা গ্রামের পরিমল দাস ও তার স্ত্রী লিপিকা রাণী দাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সোহাগী দাস বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেশবপুরের অন্যতম সংগঠক। তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক। গত ২৩ জুন সোহাদী দাস হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অ্যাফিডেভিড করে আব্দুর রহমানকে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সোহাগী দাসের পরিবার তাকে ফিরিয়ে নিতে আব্দুর রহমানকে চাপ দিতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরদিন বিকেলে আব্দুর রহিম তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মণিরামপুরের কুয়াদা বাজারে কেনাকাটা করতে যান। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বিবাদীরা লোকজন নিয়ে কুয়াদা বাজারে এসে সোহাগী দাসকে তার স্বামী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এরমধ্যে স্থানীয়রা সোহাগী দাসকে একটি দোকানে রাখা হয়। সেখানে সোহাগী দাসকে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করলে তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপরও সোহাগী দাসের স্বজনরা তাকে জোর করে নিয়ে যান। যা পরদিন স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। আয়েশা খাতুন ওরফে সোহাগী দাসকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।