নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটফুটে শিশু কাজী জয়দিয়া সারা (৭)। যশোর শহরের ষষ্টিতলা এলাকার নব কিশলয় স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে মায়ের সাথে আসে বাবা কাজী আজিজুর রহমানের সাথে দেখা করতে। তখনও তার বাবা ভবন দেখভালে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে বাবা-মেয়ের খুব বেশি কথা হয়নি। মেয়ের সাথে আজিজুরের শেষ কথা ছিল ‘আম্মু তুমি বাসায় যাও, আমি আসছি’। এরপর ঘণ্টাখানের পর স্ত্রী সন্তানের কাছে খবর পৌঁছায় নির্মাণাধীন ভবনের ৬ তলার সানসেট ভেঙে নিচে পড়ে প্রকৌশলী আজিজুর রহমান মারা গেছেন। এরপর স্ত্রী ইশরাত জাহান ও মেয়ে সারা এসে দেখতে পান হাসপাতাল মর্গে আজিজুর রহমানের নিথর দেহ পড়ে আছে। তাদের আহজারিতে হাসপাতাল চত্বরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জয়দিয়া সারা জানায়, সকাল থেকে আব্বুর কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল। মাকে সাথে করে গিয়েছিলাম আব্বুর সাথে দেখা করতে। আব্বু কাজে ব্যস্ত ছিল। তাই বেশি কথা বলতে পারিনি। আব্বু বলেছিলেন ‘আম্মু তুমি বাসায় যাও, আমি আসছি’। তিনি এভাবে আমাদের ফাঁকি দিয়ে সারাজীবনের জন্য চলে যাবেন তা ভাবতে পারিনি। এখন আমাকে কে আদর করবে। কে আমাকে বুকে জড়িয়ে ঘুমাবে।
স্ত্রী ইশরাত জাহান জানান, দুর্ঘটনা কিছু সময় আগেও তার স্বামীর সাথে কথা বলেছেন। হঠাৎ করে তার মৃত্যুর খবর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মত। তার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। স্বামী হারানোর স্ত্রী বড় ধাক্কায় হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ইশরাত। বলছিলেন, তোমার চলে যাওয়ার কষ্ট আমি সহ্য করবো কিভাবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে যশোর শহরে নির্মাণাধীন ৭ তলা ভবনের ৬ তলার সানসেট ভেঙে নিচে পড়ে প্রকৌশলী কাজী আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান ও শ্রমিক নুরুল রাজের মৃত্যু হয়।