ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : বহুল প্রতীক্ষিত শোলমারী রেগুলেটরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সাব মার্সিবল পাম্প পরীক্ষা মূলকভাবে চালু করা হয়েছে। সোমবার সকালে পাম্প দুটি চালু করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণ-পশ্বিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, জার্মান প্রকল্পের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য গাজী মেহেদী হাসান মিন্টু ও ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহাজাহান জমাদ্দার।
জানা যায়, বিলডাকাতিয়াসহ খুলনার ডুমুরিয়া অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পানির পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫ কিউসেক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ পাম্প দিয়ে সেকেন্ডে ১ হাজার লিটার পানি নিষ্কাশিত হবে। অর্থাৎ দুটি পাম্পে সেকেন্ডে ২ হাজার লিটার পানি বের হবে।
গতবছর বর্ষা মৌসুমে বিলডাকাতিয়া-ডুমুরিয়াসদরসহ রংপুর, রঘুনাথপুর ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের ২০/২৫টি গ্রাম ও ১০/১২ বিলাঞ্চল প্লাবিত হয়। এসব এলাকার পানি শোলমারী রেগুলেটর দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত বছর চার আগে মূল নদী অর্থাৎ শোলমারী ও ভদ্রা ব্যাপকভাবে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। পলিপড়ে শোলমারী রেগুলেটের ১০ জলকপাট অচল হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে (গত বছর) নেমে যায় ভারি বর্ষণ। পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে পড়ার কারণে বৃহত এই অঞ্চল ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ে। কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়। এ সময়ে উপজেলা প্রশাসন, পাউবো ও বিএডিসি এলাকাবাসীকে সমন্বিত করে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে সফলতা অর্জন করে। আবারো সেই নদী ও রেগুলেটের মুখে পলি পড়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। যার কারণে শোলমারী রেগুলেটরে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প চালু করে জলাবদ্ধতা নিরসনে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, গত বছর এ অঞ্চল সবচেয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হয়। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে অফিস ছেড়ে সর্বদা মাঠে থেকে সাময়িক জলাবদ্ধতা রোধের চেষ্টা করেছি।
দক্ষিণ-পশ্বিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে শোলমারী রেগুলেটরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দুটি পাম্প পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল কাজ বাকি আছে। কয়েকদিনের মধ্যে পূর্ণভাবে চালু হবে। আশা করছি এ পাম্পের মাধ্যমে নদীর পলি কিছুটা অপসারণ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দে ১৫ কিলোমিটার শোলমারী-ভদ্রা নদী ড্রেজিংসহ ২৪ খাল পুনঃখনের একটি প্রকল্প অতি শিঘ্রই অনুমোদন হবে। ওই প্রকল্পে আরো ৫টি একই ক্ষমতাসম্পন্ন সাব-মার্সিবল পাম্প বরাদ্দ রয়েছে। এর ৩টি স্থাপন হবে শোলমারী রেগুলেটের এবং ২টি স্থাপন হবে রামদিয়া রেগুলেটরে।