নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের ঝিকরগাছায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের নাম আশা (৩৫)। তিনি বালিয়া গ্রামের মৃত আতাল উদ্দিনের ছেলে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মহিদুল ইসলাম (৩০) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুরে দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া বের করেন আশা ও তার ভাই মহিদুল (৩০)। এ সময় জামতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপ্লবের নেতৃত্বে বিএনপি’র অপর গ্রুপ বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে আশা ও তার ভাই মহিদুল গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য আশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রোববার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশার মৃত্যু হয়েছে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ছুটিপুর বাজার দখল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই জের ধরে শনিবার দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
নিহতের বোন নাসিমা মামলায় উল্লেখ করেছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার আসামিরা তার দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রোববার তার বড় ভাই আশা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । তার আরেক ভাই মহিদুল যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আশা নামে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ৬ গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কাগমারী গ্রামের মৃত লুলু হকের ছেলে ওলিয়ার রহমান, ছুটিপুর গ্রামের দবির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আহমদ আলী, কাগমারী গ্রামের তফসির আলীর ছেলে সাহাঙ্গীর আলী, ছুটিপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে রকিব উদ্দিন, মোহাম্মদপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর দুই ছেলে জনাব আলী ও আরব আলী। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।