প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: পাইকগাছায় রাস্তা থেকে উঁচু ও দুই পাশে গাইডপোস্ট বিহীন জনগুরুত্বপূর্ণ শিবসা ব্রিজে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তা থেকে ব্রিজ খাড়া উঁচু হওয়ার ফলে ব্রিজের উপরে ওঠার সময় মালবাহী ট্রাক, পিকআপ, ট্রলিসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার ঘটছে। প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত হলেও ব্রিজের ওঠার খাড়া রাস্তা সমন্বয় করা হয়নি এবং রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘদিন নাই গাইডপোস্ট।
জানা যায়, পাইকগাছা পৌরসদরের পুরানো পরিবহন কাউন্টার থেকে সোলাদানা ইউনিয়ন অভিমুখের শিবসা ব্রিজটি অবস্থিত। প্রতিদিন এ ব্রিজ দিয়ে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, জন সাধারণ ও যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া এ ব্রিজ হয়ে সোলাদানা থেকে ট্রলার যোগে দারুণমল্লিক হয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলনা যাওয়ার অন্যতম সড়ক পথ। পাশাপাশি উল্লেখিত ইউনিয়নে সরকারি প্রকল্পের বড় বড় কাজের সুবাদে ও জনসাধারণের বাড়ি-ঘর তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মালামাল নেয়ার জন্য প্রতিদিন ট্রাক,বাস, পিকআপ, নসিমন ও ইটবাহী ট্রলির মতো ভারী যানবাহনের চলাচল করে। এটি সোলাদানা ইউনিয়নের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা।
বিগত প্রায় দুই যুগ আগে নির্মিত হলেও ব্রিজের ওঠা নামার জন্য দু পাশে দীর্ঘদিন নাই গাইডপোস্ট। ফলে উচু ব্রিজের উপরে ওঠার সময় মালবাহী গাড়ি-ঘোড়া, ট্রাক, পিকআপ, ট্রলিসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়াও ব্রিজের নিচ দিয়ে পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎ থেকে লতা ইউনিয়ন অভিমুখে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। একারণে অনেক সময় গাড়ি নিচে পড়ে পথচারীদেরও বিপদের আশংকা থাকে। ব্রিজের উপরে ওঠার রাস্তা অনেক উঁচু হওয়ার কারণে মূলত দূর্ঘটনা ঘটছে। ৬ জানুয়ারি সোমবার সকালেও ইটবাহী ট্রলি উল্টে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ট্রলিটি উল্টে পড়ে গাছে আটকে যাওয়ায় নিচের রাস্তায় থাকা মানুষগুলো রক্ষা পেয়েছে। প্রতি মাসে পাঁচ সাত বার এরকম দুর্ঘটনা ঘটছে। পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাতিখালী পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি এম জালাল উদ্দীনসহ এলাকাবাসী জানান, বিগত দুই যুগ আগে এ জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি নির্মাণ হলেও দীর্ঘদিন ধরে দুপাশে গাইডপোস্ট নাই। তাছাড়া ব্রিজটির ওঠা-নামার স্থানটি অনেকটা উঁচু নিচু হওয়ায় প্রতিনিয়ত মালবাহী গাড়ি উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ জানান, দীর্ঘদিন ব্রিজের দু পাশে গাইডপোস্ট না থাকায় প্রতিনিয়ত গাড়ি উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটছে, যা দুঃখজনক। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত গাইডপোস্ট দেওয়ার জোর দাবি জানান। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুন জানান, এ রাস্তাটি বর্তমানে আমাদের দপ্তর সংশ্লিষ্ট না। এটি রোডস এন্ড হাইওয়ের অধীনে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, আমরাও চাইনা প্রতিনিয়ত এভাবে দুর্ঘটনা ঘটুক। একারণে জনস্বার্থে অনতিবিলম্বে এই জায়গার গাইডপোস্টের কাজটুকু সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে পারে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করে দ্রুত কাজটুকু করার বিষয়ে চেষ্টা করবো।