বাগেরহাট প্রতিনিধি: চিতলমারীতে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৩) গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে চিতলমারী উপজেলা সদরে হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাত্র ১শ গজ দূরে একটি ঘেরের পাড়ে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ মামলার আসামি সাহিদ গাজী (৩৫), রিয়াজ ওরফে রিয়াদ ফকির (২০) ও জবেদ শেখ (৪৫) কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছেন। ওই ভুক্তভোগী চিতলমারী উপজেলার একটি মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। গ্রেফতারকৃত সাহিদ গাজী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে, রিয়াজ আড়য়াবর্নী চরপাড়া গ্রামের আফজাল ফকিরের ছেলে ও জবেদ শেখ (৪৫) আড়য়াবর্নী গ্রামের আকতার শেখের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রীটি কসমেটিক্স কেনার জন্য চিতলমারী বাজারে আসে। এ সময় টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় মেয়েটি খালার বাড়ি যাওয়ার জন্য রাত ৮টর দিকে ফোনে রিয়াজের (সম্পর্কে মামা) কাছে ২শ’ টাকা ধার চায়। রিয়াজ তাকে হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলে। সেখানে ছাত্রীটি পৌঁছালে রিয়াজ তাকে টেনে-হেঁচড়ে মাছের ঘেরের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীকে সাহিদ গাজী, রিয়াজ ওরফে রিয়াদ ফকির ও জবেদ শেখ পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিউল আলম জানান, অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসা সেবাসহ ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘ছাত্রীর উপর ওরা নরপশুর মত বর্বরতা চালিয়েছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আরও অনৈতিক কাজের অভিযোগ আছে।’