মিরাজুল কবীর টিটো: এ বছর এইচএসসিতে যশোর শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে। পাসের হারে তলানীতে গেছে। পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ পরীক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ১২২ পরীক্ষার্থী। এবারও পরীক্ষার্থীরা ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করায় ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে।
ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। মঙ্গলবার সকালে বোর্ডের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বোর্ডের রেজাল্ট শীটে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ পরীক্ষার্থী। এছাড়া ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ৩৫ হাজার ১৩৭ জন, ৩.৫ গ্রেড থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ১৫ হাজার ৮১৯ জন, ৩ থেকে ৩.৫ গ্রেড পেয়েছে ১১ হাজার ৮৪ জন, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ৬ হাজার ৭৮৭ জন, ১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে ১৮৮ পরীক্ষার্থী।
বিজ্ঞান শাখায় ২২ হাজার ৮৭৮ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২০ হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২২০ জন। এছাড়া ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ১১ হাজার ৭৮২ জন, ৩.৫ গ্রেড থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ৫৩৬ জন, ৩ থেকে ৩.৫ গ্রেড পেয়েছে ৫৭৭, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১০২ জন।
মানবিক শাখায় ৮৪ হাজার ৬৮০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৮ হাজার ৫৮৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৯৭০ পরীক্ষার্থী। এছাড়া ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ১৯ হাজার ২৯৪ জন, ৩.৫ গ্রেড থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ১১ হাজার ৭৯০ জন, ৩ থেকে ৩.৫ গ্রেড পেয়েছে ৮ হাজার ৮২০ জন, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ৫ হাজার ৫৭৬ জন, ১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে ১৩৩ পরীক্ষার্থী।
ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ১৪ হাজার ৯৫৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯ হাজার ৯৬৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫৯ জন। এছাড়া এছাড়া ৪ থেকে ৫ গ্রেড পেয়েছে ৪ হাজার ৬০ জন, ৩.৫ গ্রেড থেকে ৪ গ্রেড পেয়েছে ২ হাজার ৪৯৩ জন, ৩ থেকে ৩.৫ গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ৬৮৭, ২ থেকে ৩ গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ১০৯ জন, ১ থেকে ২ গ্রেড পেয়েছে ৫৫ জন।
এবছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের অবনতির জন্য ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি বলে জানান যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তার। তিনি বলেন, করোনার কারণে দেড় বছর আমাদের শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাসে যেতে পারেনি। সরাসরি পাঠদান করা যায়নি। যার কারণে ইংরেজিতে যে লার্নিং গ্যাপ সেটা এখনও আমরা পূরণ করতে পারিনি পুরোপুরিভাবে। যার কারণে আমরা মনে করছি যে ইংরেজিতে তারা বেশি খারাপ করেছে। এই কারণে আমাদের গতবারের তুলনায় ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদ, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক ) নিয়ামত এলাহী, উপপরিচালক রফিকুর রহমান, প্রোগ্রামার মোজাম্মেল হক চৌধুরী, কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান , সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।