নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। তবে এ ছুটিতে বেনাপোল কাস্টম হাউজ ও বন্দরে পণ্য খালাস এবং বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তবে পাঁচদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির। তিনি জানান, ভারত থেকে এ ধরনের একটি চিঠি বন্দরে দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ১৪ অক্টোবর থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, পূজার ছুটিতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, বুধবার থেকে ছুটি শুরু হলেও মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে যাবে ছুটি। সবাই কাজকর্ম সেরে রওয়ানা দেবেন যার যার গন্তব্যে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর ও বাংলাদেশে ১৩ অক্টোবর টানা পাঁচদিনের ছুটিতে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ১৩ অক্টোবর সকাল থেকে আবারও এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে। তবে ইলিশ মাছ আমদানি চালু থাকবে বিশেষ ব্যবস্থায়।
দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। বেনাপোল থেকে কোলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। এ কারণে এ পথে আমদানিকারকরা আমদানিতে আগ্রহ বেশি। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। এছাড়াও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এ বন্দর দিয়ে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। টানা পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা।
এব্যাপারে যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, বেনাপোল হলো দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়েই বেশিরভাগ আমদানি রফতানি হয়ে থাকে। টানা ৫ দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকলে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। কেননা পেট্রাপোলে পণ্য পড়ে থাকলে তার চার্জ দিতে হবে। আবার বাণিজ্য চালু হলে বেনাপোলে জট শুরু হতে পারে। তখনও পণ্য পৌঁছাতে দেরি হবে। যার প্রভাব বাজারে পড়তে পারে।