কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে কোটচাঁদপুর উপজেলার মাদরাসাসহ ৩৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের খোঁজ নিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঝামেলা এড়াতে এমনটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ। গত ২০ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক পত্রে দেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মাদরাসা ও কলেজের সভাপতির পদ বিলুপ্ত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলার ২৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫ দাখিল মাদরাসা, ৩ আলিম মাদ্রাসা ও একটি কামিল মাদরাসা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে শুধুমাত্র সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণা করা হলেও প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য পদ বিদ্যমান রয়েছে। অথচ গত দেড় মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কোনো খোঁজ খবর রাখছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছুটিতে থাকায় তার অবর্তমানে অফিস সহকারী আব্দুল লতিফ জানান, উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ডাকছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজেরা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্থায়ীভাবে সভাপতি নিয়োগ না হলে সভা আহবান করা সম্ভব হবে না।
এন.কে.আর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সদস্যপদ সমূহ বহাল থাকলেও সকল প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইউএনও। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সাধারণ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। সভাপতি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করছেন।