খুলনা প্রতিনিধি: খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ সদস্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গল্লামারী এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে তিনি মারা যান বলে জানান খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
নিহত কনস্টেবলের নাম সুমন ঘরামি। তিনি পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।
কমিশনার বলেন, “সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা কনস্টেবলকে বেধড়ক মারপিট করে। আহত অবস্থায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি জানান, সংঘর্ষে পুলিশের প্রায় ৩০ সদস্য আহত হয়েছেন।
এরআগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নংলগ্ন গল্লামারী এলাকায় পৌঁছালে জিরো পয়েন্টের দিক থেকে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছোড়ে। পরে সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সড়কে মুখোমুখি অবস্থান করছিল। সংঘর্ষের কারণে বন্ধ ছিল ওই এলাকার আশপাশের সব দোকানপাট এবং গাড়ি চলাচল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বেলা ৩টার দিকে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এ সময় কোটা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
এক পর্যায়ে পুলিশ বাঁধা দিলে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন। এ সময় তারা সোনাডাঙ্গা থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বেলা সোয়া ৩টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ও নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় মিছিল নিয়ে পৌঁছায়। জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।