মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর জেনারেল হাসপাতালে ‘র্যাবিক্স ভিপি ভ্যাকসিন’র সংকট চলছে। ১৫ দিন আগে হাসপাতালটিতে ভ্যাক্সিনটির মজুদ ফুরিয়ে গেছে। ফলে কুকুর বা বিড়ালের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের বাইরে থেকে এই ভ্যাকসিন কিনে শরীরে পুশ করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন সংকট কাটতে একমাস সময় লাগবে।
হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রের এমটিপিপি আই ইনচার্জ নুরুল হক জানান, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন কুকুর বা বিড়ালের কামড়ের শিকার হয়ে ভ্যাকসিন দিতে হাসপাতালে আসেন। প্রতিমাসে মাসে এ ভ্যাকসিনের চাহিদা থাকে গড়ে সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ৪শ’ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। যেটি চাহিদার তুলনায় কম। এই ভ্যাকসিন ১৫ দিন আগে শেষ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে টিকিটি কেটে চিকিৎসক দেখিয়ে প্রেসক্রিপশনে ভ্যাক্সিনের নাম লিখিয়ে নিয়ে বাইরে থেকে কিনে এসে শরীরে পুশ করতে হচ্ছে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্তদের।
উপশহরের বাসিন্দা লুনা খাতুন জানান, তার মেয়েকে বিড়ালে কামড়নোর পর যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখান। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে ভ্যাকসিনের নাম লিখে দেন। সেটি বাইরের থেকে কিনে এনে তার মেয়ের শরীরে পুশ করতে হয়েছে।
একই কথা জানান সবল হোসেন (২০) নামে আরেক যুবক। তাকেও বিড়ালে কামড়ায়। তিনি বলেন, হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারে ভ্যাকসিন সংকট। সেখানকার দায়িত্বরত সেবিকাদের পরামর্শে বাইরের থেকে ভ্যাকসিন কিনে এনে তাদের দিয়ে শরীরে পুশ করিয়ে নেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অ্যান্টি রেবিস (জলাতঙ্কের টিকা) ভ্যাকসিনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভ্যাকসিন আসতে এক মাস সময় লাগবে।