বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোংলায় উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি পিযুষ কান্তি মজুমদারসহ ৮ জনকে অবস্থায় মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে হামলার প্রতিবাদে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। হামলার ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রুখতে টহল পুলিশ জোরদার করেছে।
রোববার মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরাজিত হন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। নির্বাচনের পর সোমবার সকালে উপজেলার পাগলের মোড় এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মোংলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি পিযুষ কান্তি মজুমদারসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পিযুষ কান্তি মজুমদারসহ ৮ জনকে মোংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতির উপর হামলার নিন্দা জানান।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে দুইপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী হামলা ও সহিংসতা রোধে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করেছে।