নিজস্ব প্রতিবেদক: ঠোঁট কাটা অবস্থায় দিনমজুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করে স্বর্ণা আক্তার। তার এই অবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মা রিমা খাতুন। ব্যয়বহুল এই অস্ত্রোপচার করাতে এত টাকা কিভাবে জোগাড় করবেন তা নিয়ে যেন পিতা-মাতার চিন্তার শেষ নেই। এক প্রকার মেয়েকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কল্পনাও ছেড়ে দেন তারা। এই অবস্থায় রিমার কাছে আশার আলো হয়ে আসে বিনা খরচে ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ‘ক্লেফট বাংলাদেশ’। তিনি খবর পান যশোর শহরের নোভা মেডিকেল সেন্টার হসপিটালে ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীদের বিনামুল্যে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। অপারেশন করছেন ডা. মাসফিকুর রহমান স্বপন। তিনি সেখানকার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। ফ্রি চিকিৎসায় তার মেয়ে এখন সুস্থ। স্বর্ণা যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, স্বর্ণার মত ৬০ শিশুর কাটা ঠোঁটে হাসি ফুটিয়েছেন যশোর মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসফিকুর রহমান স্বপন। ‘আপনার বাচ্চাটিও হাসুক অন্য স্বাভাবিক বাচ্চাটির মত এই স্লোগানকে সামনে রেখে ক্লেফট বাংলাদেশ’র সার্বিক সহযোগিতায় নোভা মেডিকেল সেন্টার হসপিটালে নিয়মিত ঠোঁট ও তালুকাটা রোগীদের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে।
ডা. মাসফিকুর রহমান স্বপন জানান, ঠোঁট ও তালুকাটা শিশুরা শক্ত খাবার খেতে পারে না। তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ লেগেই থাকে। ঠোঁটকাটা নিয়ে শিশুর জন্ম হলে জন্মের পর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচার করতে হয়। তালুকাটা হলে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে অস্ত্রোপচার করা ভালো। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ৬০
শিশুকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানো সম্ভব হয়েছে।