ভবদহের দুই বিলে বোরো চাষে কৃষকের মুখে হাসি

এখন সময়: শনিবার, ৪ মে , ২০২৪, ০৩:২৩:৩৯ এম

 

উৎপল বিশ্বাস, নেহালপুর: যশোরের ভবদহ অঞ্চলে বোরো চাষে কৃষকের মুখে হাসির ছোঁয়া লেগেছে। ভবদহের সবচেয়ে জলাবদ্ধ এলাকা হচেছ বিল বোকড় ও বিল কেদারিয়া। এই দুই বিলে বোরো আবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর এই দুই বিল পাড়ের কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে পারলেও শঙ্কা ছিল এ বছর ফসল হবে কিনা। কিন্তু এ বছরও তাদের মুখে হাসির ঝলক। ওই দুই বিলের অধিকাংশ ক্ষেতের ধান এখন পরিপক্ক। শুরু হয়েছে ফসল সংগ্রহ।

সোমবার সরজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের শতকরা ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটার উপযোগী হয়ে গিয়েছে। এখন গোলায় তোলার পালা। লখাইডাংগা গ্রামের প্রতাপ মন্ডল বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধান পেঁকেছে। ধান কাটাও শুরু করেছে। কুলটিয়া গ্রামের বিদ্যুৎ মন্ডল সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, তার অর্ধেক জমির কাটা শেষ। তবে বাজেকুলটিয়া, আলীপুর, পোড়াডাঙ্গা, নেহালপুর, সুজাতপুর গ্রামের অনেক কৃষকই শঙ্কায় রয়েছে। তারা জানান, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে সব ফসল ঘরে তোলার। বর্তমানে যে আবহাওয়া চলছে তাতে যে কোনো সময় বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কারণে আবহাওয়া বিরূপ হলে তাদের পথে বসতে হবে। যে কারণে তারা যত দ্রুত সম্ভব ফসল ঘরে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেখা মন্ডল জানান, এ বছর বিল কেদারিয়ায় মোট ৫ শ ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ৫ শ ১০ হেক্টর এবং বিল বোকড়ে মোট ১ হাজার ৩ শ ২০ হেক্টর জমির মধ্যে ৭ শ ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। উবশি ধানের ফলন গড়ে ৩৩ শতকের বিঘা প্রতি ২২ মণ ও হাইব্রিড ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২৮ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, ভবদহে ২০ সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি সেচ দেয়ার সুফল এলাকার কৃষকরা ভোগ করছে। তাই এ বছরও তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।