মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর পৌরসভার রাস্তা-ফুটপাতসহ জেলার মহাসড়ক থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ ও জরিমানার সিদ্ধান্তের পর তিনদিন পেরোলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। কোনো ধরণের প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় রাস্তা ও ফুটপাতে বহাল তবিয়তে অবৈধ দোকান বসিয়ে ব্যবসায় চলছে। ইট, বালু ও খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী হাঁটাচলার পথ দখল করে ফেলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার যশোর শহরের ৭টি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
৫ এপ্রিল রোজার মধ্যে শহরের এমএসটিপি গার্লস স্কুলের পেছনের রাস্তায় ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রীর কারণে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র নিহত হন। রাস্তাটির স্পিড ব্রেকারের কাছে বালি ফেলে রাখায় দুর্ঘটনার শিকার হন ওই কলেজ ছাত্র। এরপর গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যশোর পৌরসভাসহ সব মহাসড়ক থেকে ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী অপরসারণ ও জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়। অথচ তিনদিন পার হলেও সিদ্ধান্ত কার্যকরে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার জানান, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পৌরসভার কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। যার কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হয়নি। রেজুলেশনে ন্বাক্ষর হওয়ার পর পৌরসভাকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হবে।
শুক্রবার যশোরে শহরের কাজীপাড়া, পুরাতন কসবা, কারবালা, বেজপাড়া, ঘোপ, বারান্দিপাড়া ও ষষ্ঠিতলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় ও ফুটপাতে ইট, বালি ও খোয়া ফেলে রাখা। সরকারি মহিলা কলেজের সামনে দিয়ে কারবালা যাওয়ার পথে রাস্তার ওপর বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে বালি ফেলে রেখে নির্মাণ কাজ চলছে। রেল রোড দিয়ে ষষ্ঠিতলায় প্রবেশের মুখে একটি কালভার্টের অর্ধেকটা জুড়ে রাখা হয়েছে খোয়া ও বালি। এই রোডে অনেক জায়গা রাস্তা জুড়ে ইট ও বালি রাখা।
দেখা গেছে, বেজপাড়া ও বারান্দিপাড়ার অধিকাংশ রাস্তায় ইট ও বালি ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশ লাইন কদমতলা মোড়ে বালি ও খোয়া ফেলে রাখা। এতে রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সেখান দিয়ে মোটরসাইকেল ও রিক্সা চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে রোষানলে পড়ার আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করে এ ব্যাপারে বক্তব্য দিতে রাজি হননি কেউ।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন জানান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছির বিদেশে ট্রেনিংয়ে গেছেন। নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পর রাস্তা থেকে নির্মাণ সামগ্রী অপসারণ ও ফুটপাত দখল মুক্তে ব্যবস্থা নেয়া হবে।