শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ

এখন সময়: শনিবার, ৪ মে , ২০২৪, ০৭:৩৪:৫৯ পিএম

 

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে সাদিয়া আক্তার মৌ (১৮) নামে একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদিয়া আক্তার মৌ ও প্রতিবেশী অন্তর খানের (২২) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। মৌ এর পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে একপর্যায়ে উপজেলার চন্ডিখালী গ্রামে মেয়েকে বিয়ে দেয়। তাদের সংসারে ১০ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তখনও মৌকে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাস দিতে থাকে অন্তর। একটা সময় মৌকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে। তারপর দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করে।

সূত্রমতে, তাদের খুঁজে না পাওয়ায় মেয়ের বাবা মাগুরা আদালতে ও ছেলের বাবা রুহুল খান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ পিবিআই মৌকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে মুক্তি দিলে বাড়িতে ফিরে আবারো অন্তরের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এরপর তারা দুজনে শ্রীপুর অন্তরের দুলা ভাই আল-আমিনের বাড়িতে ওঠে।

এরপর গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে মৌকে অন্তরের বাড়িতে পাঠানো হয়। অন্তরের পরিবারের লোকজন মৌকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৌ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন সেটি টের পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা জেনারলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মৌ।

মৌ এর বাবা সাচ্ছু খোন্দকার ও মা রোজিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সংসার ভেঙেছে অন্তর। মৌকে বিয়ে করে চার মাস আত্মগোপনে থেকেছে। স্ত্রীর অধিকার নিয়ে মৌ ওদের বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। অভিমানে মেয়ে আমার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

এ বিষয়ে অন্তর খানের বাবা রুহুল খান বলেন, ছেলে ও মেয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিল। ছেলে কোথায় আছে জানি না । আর ছেলে যখন বাড়িতে নেই; তখন আমরা কীভাবে তাকে ঘরে তুলবো।  মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে বুঝিয়ে  বাবার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।