যশোরে সাংবাদিক জুয়েলের ওপর হামলা, দুই পুলিশ সদস্য ক্লোজড

এখন সময়: বুধবার, ১ মে , ২০২৪, ০১:২৪:৫৫ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবাদ সংগ্রহের সময় যশোর জেনারেল হাসপাতালে সময় টিভির প্রতিবেদক ও ক্যামেরা পারসনের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে চ্যানেলটির প্রতিবেদক ও প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মৃধা ও ক্যামেরা পারসন আবুল কালাম আজাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

সার্জারি ওয়ার্ডে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্য ক্যামেরা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ‘ক্লোজ’ করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সময় টিভির যশোরের স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল মৃধা জানান, বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি সংগ্রহ করতে হাসপাতালে যান। এ সময় আহত ওই দুই ব্যক্তির ছবি নিতে গেলে পুলিশ সদস্য হাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম বাধা দেন। ক্যামেরা পারসন আবুল কালাম আজাদকে গলা টিপে দেয়ালে ঠেসে ধরেন। ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। ওই দুই পুলিশ সদস্য সাংবাদিকদের আটকেরও হুমকি দেন। এ খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান যশোরের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান বলেন, পুলিশের এ ধরণের কর্মকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি। সাংবাদিক লাঞ্ছিতকারী দুই পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

ওই ইউনিয়নটি সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান বলেন, পুলিশের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামীতে এমন ঘটনা রোধে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করি।

বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নূর ইসলাম বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনা স্বাধীন মত প্রকাশে বড় ধরনের বাধা। ওই দুই পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের নেতৃবৃন্দ।

প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ‘ক্লোজ’ করেছে। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছি।

ঘটনার পর যশোর ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রূপন কুমার সরকারসহ পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেসক্লাব যশোরে আসেন। তারা প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান ও জুয়েল মৃধাসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নেয়া হবে বলে জানান।