ঈদ বাজার

গরমে সুতি ও হালকা রঙের পাঞ্জাবির কদর বেশি

এখন সময়: বুধবার, ৮ মে , ২০২৪, ০৪:২৩:১১ এম

 

মারুফ কবীর: ঈদে ছোট-বড় সবারই চাই নতুন একটি পাঞ্জাবি। অন্তত ঈদের নামাজের মাধ্যমে উৎসবের এই দিনটির শুরু হওয়াটা চায় পাঞ্জাবি দিয়েই। আর তাই যশোরের ফ্যাশান হাউসগুলোয় বাহারি কাট ও রকমারি ডিজাইনের সব পাঞ্জাবির পসরা সাজানো হয়েছে। গরমের ভেতর ঈদ, এটি বিবেচনায় রঙ ও কাপড়েও আনা হয়েছে বৈচিত্র। বিশেষ করে গ্রীষ্মের মধ্যে ঈদের দিকটি মাথায় রেখে আরামদায়ক কাপড়ের পাঞ্জাবি সংগ্রহে রেখেছেন বিক্রেতারা।   

শহরের বিভিন্ন বাজারে পোশাকের দোকান ও ফ্যাশান হাউস ঘুরে জানা গেছে. ঈদ ঘিরে পাঞ্জাবির বেচাকেনা বেড়েছে কয়েক গুন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমের কারণে হালকা রঙ ও কম কাজ করা সুতি পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। রেডিমেটের পাশাপাশি অনেকে পাঞ্জাবি তৈরি করে পরেন। টেইলার্সগুলোতেও তাই করিগরদের পাঞ্জাবি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের পাঞ্জাবি হাউজের প্রোপাইটর আতাউর রহমান বলেন, এবারের ঈদ গরমে হওয়ায় সুতির পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। আরামদায়ক বলে ক্রেতারা এটাই বেছে নিচ্ছেন।

মুজিব সড়ক ভিআইপি সড়কের রুপকথা শো-রুমের বিক্রয়কর্মী রুহুল আমিন বলেন, তরুণী ও গৃহিনীরাও পাঞ্জাবি কিনতে আসছেন। বাবা, ভাই এবং স্বামী-সন্তানদের জন্য পাঞ্জাবি কিনছেন।

রুবেল হোসেন নাম এক ক্রেতা বলেন, ঈদে পুরুষদের কাছে পাঞ্জাবির কদর বেশি। পাঞ্জাবি পরে সবাই ঈদের নামাজে অংশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

স্কুল শিক্ষক আলী আকবর বলেন, ঈদে পুরুষের প্রথম পছন্দ থাকে পাঞ্জাবি। ঈদের নামাজ থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়াসহ সবখানেই পাঞ্জাবি যেন অত্যাবশ্যক।

শিক্ষার্থী আলম বলেন, ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষেই পাঞ্জাবি কেনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, উৎসবে পাঞ্জাবি পরেন অনেকে।

 যশোরের বাজারে বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের সুতির পাঞ্জাবি ৭শ’থেকে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কারুকাজ করা শর্ট পাঞ্জাবি ও লং পাঞ্জাবি ৯শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দাম। মটকা ও সিল্কের পাঞ্জাবি ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, এবার মান ও ডিজাইন ভেদে প্রতিটি সুতি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ৩ হাজার টাকায়। বেশি দামের পাঞ্জাবি থাকলেও চাহিদা বেশি এক থেকে দুই হাজার টাকার পাঞ্জাবির।