মহেশপুরে খেলার মাঠসহ শ্রেণি কক্ষ ভুট্টা ব্যবসায়ীদের দখলে!

এখন সময়: শুক্রবার, ৩ মে , ২০২৪, ০১:২২:৫৭ পিএম

 

অসীম মোদক, মহেশপুর : মহেশপুর সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাগাডাঙ্গা মহিউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখন ভুট্টা ব্যবসায়ীদের গুদাম ঘর ও খেলার মাঠ দু’টি ভুট্টা মেলার চাতালে পরিণত হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভুট্টা ব্যবসায়ীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু’টির খেলার মাঠে ভুট্টা মেলার চাতালে পরিণত করেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ গুলো ভুট্টা ব্যবসায়ীদের গুদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার শিশু কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ গুদাম ঘর হিসেবে ব্যবহারের কারণে জনসাধারণের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। সলেমানপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, টাকার বিনিময়ে ভুট্টা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ও মোবারক  বেশ, কিছুদিন ধরে ভুট্টা শুকাচ্ছেন। এতে করে এলাকায় শিশু কিশোরদের খেলাধুলা একেবারে বন্ধ রয়েছে। কেউ কিছু বলতে গেলে ভুট্টা ব্যবসায়ীরা মারধরের হুমকি দেখায়।

এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করে খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন। সলেমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজার দাবি, খেলার মাঠটির কিছু অংশ ব্যক্তি মালিকানা হওয়ায় তারা ভুট্টা ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন ভুট্টা ব্যবসায়ী জাহিদ ও আসাদ বিদ্যালের মাঠ ও কয়েকটি শ্রেণি কক্ষ ভাড়া নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভুট্টা শুকিয়ে বিক্রয় করছেন। এতে করে এলাকার শিশু কিশোরদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও শ্রেণি কক্ষ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। মহিউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান জানান, বিদ্যালের মাঠ বা শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দেয়া হয়নি তবে ভুট্টা শুকানোর জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে মাত্র। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, রাজনৈতিক চাপের কারণে খেলার মাঠে ভুট্টা শুকানো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। কারণ ভুট্টা ব্যবসায়ীরা স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত। শুধু তাই না তারা অনেক ক্ষমতাবান। তাই আমরা তাদের কাছে একেবারে নিরুপায়।