ঈদ বাজার

নারীদের পছন্দের শীর্ষে টাঙ্গাইল সুতি ও ঢাকাই জামদানি

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪, ০৩:৪৪:৩০ পিএম

 

মারুফ কবীর : শাড়ির প্রতি নারীদের আকর্ষণ যেকোনো উৎসবে একটু বেশি। এবারের ঈদে নারীদের পছন্দের শীর্ষে টাঙ্গাইল সুতি ও ঢাকাই জামদানি শাড়ি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের শুরুর দিকে বিক্রি তেমন একটা ছিল না। তবে ১৫ রমজানের পর থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। চলতি এপ্রিলে নতুন মাসের বেতন-বোনাস পাবেন চাকরিজীবীরা। তখন বিক্রি আরও বাড়বে। যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, ঈদের সময় মানুষজন তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য শাড়ি কেনেন। সেজন্য আমরা সব বয়সী নারীদের ব্যবহার উপযোগী শাড়িই রাখি। বেচাকেনা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। শাড়ি বিক্রেতা পাঁড় আঁচলের প্রোপাইটর মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা বলেন, এবারের ঈদে টাঙ্গাইল সুতি, ঢাকাই জামদানি ও সুতির শাড়ি বেশি চলছে। আমাদের এখানে সাড়ে ৫শ’ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। প্রিন্টের এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি ৫শ’ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা। বিলকিস বেগম নামে এক গৃহিনী বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাবো। শশুর বাড়ির আত্বীয়দের জন্য টাঙ্গাইলের শাড়ি কিনেছি। বাজেটের মধ্যে হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে শাড়ি কিনতে পেরেছি। এক শাড়ি ব্যবসায়ীরা বলেন, পহেলা বৈশাখ আর ঈদ উল ফিতর এ দুই উৎসব উপলক্ষে এ বছর শাড়ির চাহিদা বেড়েছে। ঈদ কালেকশনের সাথে বৈশাখের আদলের শাড়িও এসেছে বাজারে। রোজিনা ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বিশেষ করে দেশের তৈরি জামদানি শাড়ির কদর এবার সবচেয়ে বেশি। শিক্ষার্থী তানিসা বলেন, ফ্যাশনে যতই পরিবর্তন আসুক না কেন শাড়ির আবেদন কিন্তু কখনই কমেনি। তাই ঈদে নিজেকে আকর্ষণীয় ও জমকালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে শাড়ি বেশ নির্ভরযোগ্য পোশাক। শাড়ি একদিকে যেমন আপনার সাজে এনে দিবে আভিজাত্য লুক, তেমনি করে তুলবে ফ্যাশনেবলও। যশোরের শাড়ির দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে আরও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের ক্যাটালকের শাড়ি, ড্রিম গার্ল সিল্ক, এমব্রোডারি, ব্লক, হাতের কাজ, প্রিন্ট, সিঁড়ি কাতান, কোহিনূর সিল্ক, রাজশাহীর মেগা সিল্ক,  ও কারচুপির কারুকাজ করা শাড়ি।  হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি (সুতি)  ১৫ শ’ থেকে ৩ হাজার (মসলিন)  ৩ থেকে ৬ হাজার, বাটিক (দেশি সুতি) ৮ ’ থেকে ১৫শ’, রাজশাহী সিল্ক দেড় থেকে ৬ হাজার, পিয়র সিল্ক ২হাজার থেকে ১০ হাজার,  হাফ সিল্ক ১ থেকে ৫ হাজার, মিরপুরীর কাতান আড়াই হাজার থেকে ৩০ হাজার, ঢাকাই জামদানি ৬ থেকে ২২ হাজার টাক, ক্যাটালকের শাড়ি ১৫শ’ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা , টাঙ্গাইল তাঁত ৫শ’ থেকে ১২ হাজার , টাঙ্গাইল সুতি ৫শ’ থেকে ১২ হাজার টাকা।