এবার সাতক্ষীরায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার মেট্রিক টন

এখন সময়: রবিবার, ৫ মে , ২০২৪, ০৫:০৯:৪৪ পিএম

 

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা  : সাতক্ষীরার যেদিকে তাকাবেন আম বাগানের গাছের প্রতিটি থোকায় থোকায় ফুটে আছে আমের মুকুল। বিভিন্ন আম বাগান, রাস্তা-ঘাটা ও বাড়ির আঙ্গিনায় লাগানো গাছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ইতোমধ্যে অনেক গাছে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টির কারণে মুকুলের একটু ক্ষতি হলেও বৃষ্টিতে মাটিতে রস থাকায় কৃষকরা বলছে এবারো সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ও মাটির গুণগত কারণে অন্য জেলার তুলনায় মধু মাস জৈষ্ঠ’র আগে সাতক্ষীরায় আম আগে ভাগে পাকে ও বাজারে উঠে। গুণে মানে স্বাদে সেরা হওয়ায় সাতক্ষীরার আম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে ও রফতানি হচ্ছে কয়েক বছর ধরে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন এবং রফতানির ৪০০ মেট্রি টন।

আমের উৎপাদন মূলত আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। চলতি মৌসুমে আবহওয়া অনুকূলে না থাকায়, গাছে আমের মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। তবে আমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা থেকে গত বছর ১৮০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি হয়। তবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বিদেশে ৪০০মেট্রিক টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ত্রিশমাইলের আম চাষি কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ৩০ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে আম বাগান করেছি। সেখানে হিমসাগর, লেংড়া, আম্রপালি ও গোপালভোগ আম গাছগুলো মুকুলে ভরে গেছে। বৃষ্টিতে একটু ক্ষতি হলেও গাছের গোড়ায় রস থাকায় আমের গুটি দাঁড়াতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ব্যাপারীরা মুকুল ও গুটি দেখে আম হওয়ার আগে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে দিয়েছি।

সাতক্ষীরা সদরের আম চাষি আব্দুল জলিল জানান, আমার বাগানে সব হিমসাগর আম গাছ। গত বছর আমি মণ প্রতি ২২০০ টাকা আম বিক্রি করেছি। তবে এবার উৎপাদন উপকরণের দাম অনেক বেড়ে গেছে যা নিয়ে আমি চিন্তিত। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং তাদের পরামর্শে আমি গাছগুলো পরিচর্যা করছি।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেন বলেন, আগাম বৃষ্টির জন্য আমের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে আমরা আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটা বাগান মালিককে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমরা ৪০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানি করতে পারবো।