বাবা মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কবি মোহাম্মদ রফিক

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ১২:১০:৩০ পিএম

 

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের চিতলী-বৈটপুর গ্রামে নিজ বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক। সোমবার  বেলা ১১টায় চিতলী-বৈটপুর এলাকায় উদ্দিপন বদর সামছু বিদ্যা নিকেতনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে কবির দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে রোববার (৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কবি মোহাম্মদ রফিক শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি দুই ছেলে, নাতী-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

কবির জানাজায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল বশির আহমেদ, কবির বোন জামাই শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুল হক, কবির বোন গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সেলিনা পারভীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সবিতা ইয়াসমিন, কবির ভাই প্রকৌশলী মো. শফিক, কবির ছোট ছেলে অধ্যাপক ড. শুদ্ধস্বত্ত্ব রফিক, অধ্যাপক প্রশান্ত মৃধা, সামছউদ্দিন নাহার ট্রাস্টের প্রধান সমন্বয়ক সুব্রত কুমার মুখার্জী, কবির বিভিন্ন স্বজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, উদ্দিপন বদর সামছু বিদ্যা নিকেতনসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কবির গুণগ্রাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সামছুদ্দীন আহমদ এবং মা রেশাতুন নাহারের আট সন্তানের মধ্যে মোহাম্মদ রফিক ছিলেন সবার বড়। মোহাম্মদ রফিকের  শৈশব কাটে বাগেরহাটে। মেট্রিক পাস করে ঢাকার নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে চলে যান। ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি। মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন  পুরস্কার অর্জন করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘কপিলা, ‘খোলা কবিতা, ‘গাওদিয়া, ‘মানব পদাবলী, ‘আতœরক্ষার প্রতিবেদনইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।