স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থাও পিছিয়ে থাকবে না : প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:২৮:১৩ এম

 

নূরুল হক, মনিরামপুর : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি) বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। আর এ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না। তারাও প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে। হবে আধুনিক ও বিশ্ব মানের। সমস্ত গ্রামসহ সারা দেশে প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকবে। সরকার এজন্য সকল ব্যবস্থা নিচ্ছে।

 বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত ৩ তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের শিক্ষা এবং লার্নিং যেমন ই-শিক্ষা, ই-স্বাস্থ্য, ই-ব্যবসা, ই-ইকোনমি হবে প্রযুক্তিগত জ্ঞানভিত্তিক। প্রতিটি ছেলেমেয়ে কম্পিউটার টেকনোলজি এখন থেকে শিখছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আরও অগ্রগামি। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠীই হবে প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট। বিশ্ব থেকে কোনো কিছুতেই পিছিয়ে থাকবে না। নিশ্চয়ই আমাদের শিক্ষার্থীরাও পারবে। একবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হবে। সে ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষা অর্থাৎ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পিছিয়ে থাকবে।

সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ প্রমুখ।

এর আগে বিকালে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রধান অতিথি হিসেবে মণিরামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট,বালক (অনুর্ধ্ব-১৭) এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো: আরাফাত হোসেন, সহকারী কমিশন (ভূমি) আলী হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ফারুকীসহ প্রমুখ।