যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

হাজিরা খাতায় চারদিন অনুপস্থিত ৫ চিকিৎসককে শোকজ

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:০৮:১৮ এম

 

বিল্লাল হোসেন : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৫ চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে। ৪ দিন হাসপাতালের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করার কারণে তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশে তাদের শোকজ করা হয়।  ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের শোকজ নোটিশের যথাযথ জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করে তত্ত্বাবধায়ক জানান, সরকারের নির্দেশ মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে না আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক যথযাথ নির্দেশনা না মেনে প্রভাব খাঁটিয়ে ইচ্ছামতো হাসপাতালে আসেন আর যান। আবার কেউ কেউ কর্মস্থলে নিয়মিত অনুপস্থিত থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলে আসলেও বিগত দিনের কর্মকর্তারা অজ্ঞাত কারণে নিরব ছিলেন। কিন্তু এসব অনিয়মরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সদ্য যোগদান করা তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ। ফলে এসব বিষয়ে  তিনি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন।

হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, বুধবার তত্ত্বাবধায়ক হাজিরা খাতায় দেখতে পান হাসপাতালের ৫ জন চিকিৎসক গত ১১, ১২, ১৩, ১৪ মার্চ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি। কর্মস্থলের অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি তাকে পিড়া দেয়। যে কারণে ১৫ মার্চ ওই ৫ চিকিৎসককে শোকজ করেন। কেনো তারা ৪ দিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি শোকজে তার যথাযথ জবাব চাওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান করনিক  রেজওয়ান আহমেদ জানান,  ৫ জনের মধ্যে ১৬ মার্চ ২ চিকিৎসক শোকজের লিখিত জবাব দিয়েছেন। তারা হলেন ডা. লোপা অধিকারী ও ডা. হেমন্ত কুমার পোদ্দার। শনিবার শোকজের জবাবের কপি তত্ত্বাবধায়কের কাছে প্রেরণ করা হবে।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, কতিপয় চিকিৎসক সঠিকভাবে সরকারি কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন না। হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ৯ টার পরেও অনেক চিকিৎসকের কক্ষ ফাঁকা থাকে। তারা সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পালন ফেলে ব্যক্তিগত বাণিজ্যের ধান্দায় ব্যস্ত থাকেন। এতে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানী ও দুর্ভোগের শিকার হন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, হাজিরা খাতায় ৪ দিন স্বাক্ষর না করায় ৫ চিকিৎসককে শোকজ করেছেন। যথাযথ জবাব না দিলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৮ টার মধ্যে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে। আর দুুপুর আড়াইটার পর কর্মস্থল ছাঁড়তে হবে। সকলকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। না মানলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।