বেসরকারি কলেজে ৬৯ হাজার ২০২ আসন খালি রেখে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:২৭:২৭ পিএম

মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ক্লাশ শুরু হবে। সরকারি কলেজে সব আসন পূর্ণ হলেও বেসরকারি কলেজে বিজ্ঞান ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় আসন খালি রেখে এ ক্লাশ শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী। খালি রয়েছে ৬৯ হাজার ২০২ আসন। যশোর বোর্ড থেকে এসএসসি পাস করা ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই ভর্তি হয়নি। এখান থেকে পাস করা অনেক শিক্ষার্থী কারিগরি ও মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার কারণে ৬৯ হাজার ২০২ আসন খালি রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি কলেজে বিজ্ঞান ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় বেশি আসন খালি রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, বিজ্ঞান ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় সরকারি কলেজে সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় শিক্ষার্থীরা সেখানে ভর্তি হয়।

যশোর শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞানে ৪৩ হাজার ১২১ আসন, ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৪৭ হাজার ৩৯৭ আসন ও মানবিক শাখায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৩ আসন। এ আসনগুলো সরকারি কলেজে ভর্তি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। জানা গেছে, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে আসন বিজ্ঞানে ৩৬০, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১৮৫ ও সরকারি মহিলা কলেজে বিজ্ঞানে ২৪০, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১০৯ আসনে ভর্তি পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ দুই আসনে বেসরকারি কলেজের তুলনামূলক ভাবে শিক্ষার্থীরা খুব কম ভর্তি হয়েছে। যেমন  উপশহর মহিলা কলেজে বিজ্ঞানে ১৫০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ৫০ জন, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১৫০ আসনের বিপরীতে মাত্র দুইজন ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। উপশহর ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞানে ১০০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ৬০ আসনের বিপরীতে মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। নতুন হাট পাবলিক কলেজে বিজ্ঞানে ৬৫ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ৫ জন, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১৫০ আসনের বিপরীতে ৭৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। রাজ্জাক কলেজে বিজ্ঞানে ২০০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ১৯৮ জন, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১৫০ আসনের বিপরীতে ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। হামিদপুর আল হেরা ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞানে ১৭৫ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছে ১৩০ জন, ব্যবসায়ী শিক্ষায় ১৭৫ আসনের বিপরীতে ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।

তালবাড়ীয় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীন জানান, গ্রামের স্কুল থেকেই পাস করা শিক্ষার্থীরা গ্রামের কলেজে ভর্তি না হয়ে শহরের কলেজের ভর্তি হয়। একারণে আসন খালি থাকে।

সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমল কুমার বিশ^াস জানান, বেসরকারি কলেজের তুলনায় সরকারি কলেজে বিজ্ঞানে সুযোগ সুবিধা বেশি। সেই সাথে উন্নত ল্যাব দক্ষ শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানো হয়। ব্যবসায়ী শিক্ষায় বেসরকারি কলেজের তুলনায় সরকারি কলেজে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা উন্নত পাঠদান করানো হয়। এ সব কারণে এদুই শাখায় বেসরকারি কলেজের আসন খালি থাকে।

বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী জানান, বোর্ডে সকল সরকারি কলেজ গুলোতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়িক শিক্ষা বিভাগে ভর্তির আকর্ষণ থাকে। এ কারণে এসব কলেজে আসন  শূন্য থাকে না। কিন্তু বেসরকারি কলেজে বিজ্ঞান ও ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগে আসন তুলনামূলকভাবে খালি থাকে। এক্ষেত্রে তাই হয়েছে।