Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

গ্যাস কুপের সন্ধান, দৈনিক দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা

এখন সময়: রবিবার, ৬ জুলাই , ২০২৫, ০৪:৪৩:৩৫ এম

স্পন্দন ডেস্ক: বিশ্ব বাজারে গ্যাসের উচ্চমূল্য ও দেশে সরবরাহ সংকটের মধ্যে ভোলায় নতুন আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে; বড় এ মজুদ থেকে দৈনিক দুই কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা বাপেক্সের।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কূপ খনন ও উৎপাদন কোম্পানি বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ভোলা নর্থ ২ নম্বর কূপে চলমান খনন কাজের সময় ‘প্রচুর গ্যাসের সন্ধান নিশ্চিত করার তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সেখান থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাচ্ছে। সেখানে কী পরিমাণ গ্যাসের মজুদ আছে তা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচিত ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ভোলা নর্থ ২ নম্বর কূপে গত ৫ ডিসেম্বর খনন শুরু হয়েছিল। এর মাস দেড়েকের মধ্যে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার খবর এল।

এর আগে এ গ্যাসক্ষেত্রের টবগী ১ কূপ খননের পর প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের (বিসিএফ) সম্ভাব্য মজুদ পাওয়া গেছে বলে গত ১৯ নভেম্বর জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের এ কূপ খননের কাজ বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গ্যাজপ্রম শুরু হয়েছিল ১৯ অগাস্ট।

আর বছর দুই আগে বাপেক্সের একটি অনুসন্ধান দল ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে ভোলা নর্থ ২ নম্বর কূপে গ্যাস থাকার সম্ভাবনার কথা জানায়। ওই সময় এ কূপের কিছুটা অদূরে একই গ্যাসক্ষেত্রের ইলিশা ১ কূপেও গ্যাস পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

এই তিনটি কূপ নিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলায় গ্যাস কূপের সংখ্যা দাঁড়ায় নয়টি।

দেশে বর্তমানে ২২টি গ্যাসক্ষেত্রের মোট ৪৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। ২ কোটি বা ২০ মিলিয়ন ঘনফুটের চেয়ে বেশি গ্যাস আসে এমন গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ১০টি। সেই হিসাবে ভোলার নতুন এ কূপকে ‘বড় হিসেবেই বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাপেক্সের এমডি বলেন, “গত ৫ ডিসেম্বর খনন শুরু করেছিলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিন হাজার ৫২৮ মিটার গভীরতায় গিয়ে প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেছে। বড় মজুদ হতে পারে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।

এ কূপের খনন কাজে রিগ দিয়ে সহযোগিতা করেছে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপম।

এবিষয়ে তিনি বলেন, এ কূপের ড্রয়িং, ডিজাইন বাপেক্সের করা। আমরা রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম থেকে শুধু রিগের সুবিধা নিয়েছি। এখন এখানে তাদের আর কোনো কাজ নেই।

চুক্তি অনুযায়ী তারা অবকাঠানো নির্মাণ করে দিয়ে চলে যাবে। এজন্য নির্ধারিত চুক্তি মূল্য পাবে। গ্যাসেও তাদের কোনো অংশীদারিত্ব নেই।

গ্যাসের জাতীয় গ্রিড গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (জিটিসিএল) সঞ্চালন পাইপ লাইনের সঙ্গে ভোলার গ্যাসের কোনো সংযোগ নেই। সেখানে স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র ও স্থানীয় চাহিদা পূরণে এখন পর্যন্ত উত্তোলন করা গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

ভোলায় উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যোগ করতে একাধিক উপায় নিয়ে আলোচনা করছে সরকার।

বর্তমানে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন গড়ে উত্তোলন হচ্ছে ৪৫-৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট, যা চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, একটি কারখানা ও আবাসিকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে শাহবাজপুরে গ্যাসক্ষেত্র খনন শুরু হয়। সেখানে বর্তমানে চারটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। শাহবাজপুরে প্রায় ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএস) গ্যাস মজুদ রয়েছে।

এছাড়া শাহবাজপুর ইস্ট কূপে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট এবং ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে বাপেক্সের ধারণা।

দেশে এখন দৈনিক ৩৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সোমবার সরবরাহ করা গেছে ২৭২২ মিলিয়ন ঘনফুট যার মধ্যে ৪৮৯ মিলিয়ন ঘনফুট এসেছে আমদানি করা এলএনজি থেকে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)