নাটক ‘কহে বীরাঙ্গনা’ মঞ্চায়নে পর্দা নামলো ১২ দিনের আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবের

এখন সময়: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:৪২:১৭ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটক ‘কহে বীরাঙ্গনা মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে থিয়েটার ক্যানভাস আয়োজিত ১২ দিনের আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসব। সোমবার সন্ধ্যায় সমাপনি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত অলোচনাসভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আহসান হাবীব। আয়োজক সংগঠন এবং উৎসব কমিটির আহবায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, ময়মনসিংহ কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^ বিদ্যালয়ের নাট্য ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম তোকদার, নাট্য অভিনেতা সমু চৌধুরী, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দিপংকর দাস রতন ও শেকড় যশোরে সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসু। সঞ্চালনা করেন শ্রাবনী সুর।

অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি  যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আহসান হাবীব বলেছেন, থিয়েটার ক্যানভাসের কামরুল হাসান রিপন যে আন্দোলনের সুচনা করেছে তা সংস্কৃতির এই জগতে বৃষ্টিপাত।  যার শান্তির বানী আমাদের যশোরে বইয়ে দিয়েছে। এজন্যে থিয়েটার ক্যানভাসের সকলের প্রতি শুভেচ্ছা। তিনি বলেন আমাদের অনুপ্রেরণা আগামীতেও আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজনে সহায়ক হবে।

আলোচনাসভা শেষে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘কহে বীরাঙ্গনা। নাটকটি প্রযোজনা করেছে  মনিপুরি থয়েটার।

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্য থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এ ছাড়া নাটকটিতে থাকছেন স্বর্ণালী, অরুণা, শ্যামলী ও আনন্দিতা। সংগীতে শর্মিলা সিনহা। বাদ্যে বিধান চন্দ্র সিংহ, সমরজিৎ সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। শকুন্তলা, দ্রৌপদী, দুঃশলা ও জনা এই চার পৌরাণিক নারীর বিরহ, ঈর্ষা, শান্তি ও বিদ্রোহ তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।  মহাভারতের এই চার নারীর স্বামীকে লেখা চিঠিই নাটকের মূল উপজীব্য।