Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

গরু-ছাগলের মাংসে যক্ষ্মার জীবাণু শনাক্ত

এখন সময়: রবিবার, ১১ মে , ২০২৫, ১১:৫১:৫৭ পিএম

 স্পন্দন ডেস্ক: খাদ্য তালিকায় খুবই জনপ্রিয় গরু ও ছাগলের মাংস। এ ছাড়া প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং স্বাদের জন্য বাজারে যথেষ্ট চাহিদা গরু-ছাগলের মাংসের। তবে সম্প্রতি বাজারে বিক্রয়কৃত গরু-ছাগলের মাংসে যক্ষ্মার জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। শতকরা ৩ ভাগ গরু ও ১৫ ভাগ ছাগলের মাংসে যক্ষার জীবাণু পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

জানা যায়, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে শুরু হয় গবেষণা কার্যক্রম। বিআরসির সহায়তায় গবেষণাটি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়। এরপর কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অধীনেও গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জীবন্ত গরুর ২ হাজার ৫০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে সংরক্ষিত উৎস থেকে পাঁচ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

প্রাপ্ত নমুনায় গরু থেকে শতকরা ৩ ভাগ ও ছাগল থেকে শতকরা ১৫ ভাগ যক্ষ্মার জীবাণুর উপস্থিতি শণাক্ত হয়। গরুর মাংসে যক্ষ্মার জীবাণুটি হচ্ছে মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম বোভিস (সরপৎড়নধপঃবৎরঁস নড়ারং)। এ ছাড়া ছাগলের মাংসে মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস (সরপড়নধপঃবৎরঁস ঃঁনবৎপঁষড়ংরং), সিউডোটিউবারকুলোসিসসহ (ঢ়ংবঁফড়ঃঁনবৎপঁষড়ংরং) কয়েক ধরনের যক্ষ্মার জীবানু শনাক্ত করা হয়।

এর মধ্যে মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস মানবদেহে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এই ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৯৮ শতাংশ যক্ষ্মার জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করে। এ ছাড়া মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম বোভিসের মাধ্যমে ০.২ থেকে ০.৫ শতাংশ জীবাণু মানবদেহে সংক্রমিত করতে পারে। যক্ষ্মার জীবাণু মানবদেহে প্রবেশের পর লসিকা গ্রন্থিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করে।

এ বিষয়ে গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান জানান, গরু ও ছাগলের মাংসে উপস্থিত যক্ষ্মার জীবাণু মানুষের শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে চিড়িয়াখানা, কসাইখানা, ডেইরি ফার্মে কর্মরত ব্যক্তিদের সংক্রমনের ঝুঁকি রেশি। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাংস সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রান্নার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দেন এই গবেষক।

ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশিষ্ট যারা তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা মাংসে তেমন কোনো ঝুঁকি থাকে না। তবে পশু জবাইয়ের পূর্বে পশু চিকিৎসকের কাছে ছাড়পত্র নিলে তা সবচেয়ে ভালো হবে। সূত্র- ঢাকা পোস্ট

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)